বর্ধমান

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নবজীবন পেলেন কাঁকসার রুনু বিশ্বাস

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নবজীবন পেলেন কাঁকসার রুনু বিশ্বাস

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কুড়িটিরও বেশি সামাজিক প্রকল্প রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প বলে মনে করা হয় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে । এটি একটি স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের সূচনা করেন। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পটি রাজ্যের ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে সুবিধা প্রদান করেছে। রাজ্য সরকার বছরে এই প্রকল্পের অধীনে আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করে।

দীর্ঘ সাত-আট মাস ধরে ভুগছিলেন পেটে ব্যথায়। চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন পেটে রয়েছে বিশাল আকারের একটি টিউমার। প্রায় দুবছর ধরে এই টিউমারটি পেটের মধ্যে বড় হয়েছে। তবে টিউমারটির সঠিক অবস্থান, কত বড় টিউমারটি হয়েছে, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না চিকিৎসকরা। অপারেশন করতে খরচ ধরা হয়েছিল বহু টাকা। কিন্তু রোগী রুনু বিশ্বাসের পরিবারের সেই আর্থিক সামর্থ্য ছিল না।

অবশেষে বাধ্য হয়ে দারস্ত হয়েছিলেন কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রধান শুক্লা সিংয়ের কাছে। তার উদ্যোগে হয়েছে সমাধান। তড়িঘড়ি রণু বিশ্বাসের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তারপর সেই কার্ডে রাজবাঁধের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা হয়েছে রুনু বিশ্বাসের। পেট থেকে বের করা হয়েছে প্রায় ১৪ কেজি ওজনের একটি টিউমার।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই অপারেশন যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে চিকিৎসকদের তৎপরতায় রোগীর পেট থেকে বিশাল আকারে টিউমারটি বের করা সম্ভব হয়েছে। ওই রোগী আপাতত অনেকখানি সুস্থ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল ছিল। বিশেষ করে ওই দরিদ্র পরিবারের কাছে চিকিৎসার খরচ বহন করা বেশ কষ্টসাধ্য ছিল।

তবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে সমস্ত চিকিৎসা হয়েছে। সেই কারণে রোগীর পরিবারের উপর আর্থিকভাবে চাপ পড়েনি। অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধানের এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ দিয়েছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে যেভাবে চিকিৎসায় তারা সুবিধা পেয়েছেন যেভাবে তড়িঘড়ি করানো স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নবজীবন পেয়েছেন রুনু বিশ্বাস, তাতে সরকারি এই প্রকল্পের প্রতি মানুষের আস্থা আরও অনেক বাড়বে বলে জানিয়েছেন ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button