রাজ্য

তীব্র গরমে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা, দৈনিক এক হাজার মেগাওয়াট চাহিদা বেড়েছে জানালো ডব্লুবিএসইডিসিএল

তীব্র গরমে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা, দৈনিক এক হাজার মেগাওয়াট চাহিদা বেড়েছে জানালো ডব্লুবিএসইডিসিএল

তীব্র গরমে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। গত বছর এই সময়ে রাজ্যে চাহিদা যা ছিল, তার চেয়ে দৈনিক এক হাজার মেগাওয়াট চাহিদা বেড়েছে। সিইএসসি’র দাবি, এবারের মতো চাহিদা এর আগে দেখা যায়নি। ডব্লুবিএসইডিসিএল সূত্রে খবর, বর্তমান দৈনিক চাহিদা ছাড়িয়েছে আট হাজার মেগা ওয়াট।

কলকাতা ও রাজ্য বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থা জানাচ্ছে, দুপুর এবং রাত সাড়ে এগারোটার পর চাহিদা বাড়ছে সবচেয়ে বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই, বিদ্যুতের চাহিদায় হচ্ছে লোডশেডিং। কেন লোডশেডিং? কারণ, ‘আননোন লোড’। দু’ই বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মানুষ না জানিয়ে এসি’র সংযোগ নিচ্ছে। এতেই বাড়ছে লোডশেডিং বিপত্তি।

সিইএসসি জানিয়েছে, গত সোমবার দুপুর ৩টে ৪৫ মিনিটে চাহিদা ছিল ২,৩৬৬ মেগাওয়াট। যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি চাহিদা। ডব্লুবিএসইডিসিএল জানিয়েছে, পয়লা বৈশাখে চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। পরিমাণ, ৮, ৩৫০ মেগাওয়াট।

বেশি চাহিদা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, শিলিগুড়িতে। রাজ্য বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থা বিদ্যুত্‍ সমস্যার দ্রুত সমাধানে গত ১৭ এপ্রিল থেকে চালু করেছে সর্বক্ষণের কন্ট্রোল রুম। ওই কট্রোল রুমের নম্বর ৮৯০০৭৯৩৫০৪ ও ৮৯০০৭৯৩৫০৩। ১৭ এপ্রিলেই বিদ্যুত্‍ চাহিদায় মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ায় সিইএসসি’র আওতাভুক্ত দক্ষিণেশ্বর, বেলঘরিয়া, যোধপুর পার্ক ও হরিদেবপুরে ট্রান্সফর্মার পোড়া থেকে বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটি হয়। ফলে বিদ্যুত্‍ পরিষেবা স্তব্ধ ছিল বেশ কিছুক্ষণ।

পরের দিনই কলকাতা বিদ্যুত্‍ বন্টন সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুত্‍ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং বিদ্যুত্‍ দফতর সচিব শান্তনু বসু। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সর্বক্ষণ বিদ্যুত্‍ কর্মী মোতায়েন, পর্যাপ্ত ট্রান্সফর্মার, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ডিজি সেট রাখার।

আরও পড়ুন ::

Back to top button