বর্ধমান

ঈদ উত্‍সব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করতে বৈঠক আধিকারিকদের

ঈদ উত্‍সব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করতে বৈঠক আধিকারিকদের

একমাসব্যাপী পবিত্র রমজান মাস পালনের পর আসে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব খুশির ইদ বা ইদ উল-ফিতর এই উৎসব ‘মিঠি ইদ’ নামেও পরিচিত। ইসলামী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নবম মাসটি হল রমজান মাস। আর দশম মাস অর্থাৎ শাওয়ালের প্রথম দিনটি বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয় ইদ।

ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, যারা সৎ উদ্দেশ্য প্রার্থনা এবং উপবাস করেন, ঈশ্বর তার ভক্তদের অতীতের পাপকে ক্ষমা করেন। দিনটি পবিত্র নবী হজরত মোহাম্মদ যেদিন পবিত্র কোরানের প্রথম প্রকাশনা হিসাবে চিহ্নিত। ইদ উল-ফিতর কথাটির অর্থ উপবাস ভঙ্গের উত্‍সব। রমজান মাসের উপবাস ভঙ্গ করা হয় ইদের দিনে। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে, রমজান মাস কখনও ২৯ দিন তো কখনও ৩০ দিন হয়। এরপর চাঁদ দেখে পালন নয় খুশির ইদ।

কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের নির্দেশে ও নবদ্বীপ থানার ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছরের মতো এই বছরেও ঈদ উত্‍সব উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নবদ্বীপ থানার সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হলো সমন্বয় সভা। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পুন্ডরীকাক্ষ সাহা সহ নবদ্বীপ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পঞ্চায়েত প্রধানরা।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বরুণাশীস সরকার। এদিনের সমন্বয় সভায় পৌরহিত করেন নবদ্বীপ থানার আইসি জলেশ্বর তিওয়ারি। ঈদ উত্‍সবকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলতে এদিনের সমন্বয় সভায় উপস্থিত হয়ে নিজেদের মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন মন্দির নগরী নবদ্বীপ শহর ও ব্লক এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন মসজিদের প্রতিনিধিরা ।

প্রশাসনিক আধিকারিক ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ঈদ উত্‍সব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পালনের বিষয়টি মূলত তুলে ধরা হয় এদিনের সমন্বয়ে সভার মধ্যে দিয়ে। পাশাপাশি ঈদ উত্‍সবকে সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ করে তুলতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান নবদ্বীপ থানার আইসি জলেশ্বর তিওয়ারি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button