বর্ধমান

১৯ মাসের বকেয়া টাকার দাবিতে বিক্ষোভ চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের

১৯ মাসের বকেয়া টাকার দাবিতে বিক্ষোভ চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের

১৯ মাসের বকেয়া টাকার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালো এভিডি -এর চুক্তি ভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্মীরা। টাকার দাবিতে একাধিক বার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানালেও টাকা মেলেনি। পেটে গামছা বেধে কাজ করে চলেছেন কর্মীরা।

ঈদের আগে টাকা না পেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন সেখ আনসার ও এনামুল হক সহ ২৬ জন চুক্তি ভিত্তিক কর্মী। বুধবার মালদহের মালতীপুর গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে কিট বক্স নিয়ে এক ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কর্মীরা।

ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে,চাঁচল-২ নং ব্লক এলাকার ২৫ টি স্বাস্থ্য ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঔষধ,ভ্যাকসিন ও শিশুদের পোলিও সহ যাবতীয় সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন কর্মীরা।

কর্মীদের অভিযোগ,নিজের টাকায় টোটো ভাড়া করে ঔষধের বাক্স নিয়ে পৌঁছাতে হয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ১৯ মাস ধরে বেতন না মিললেও ঘরের টাকা দিয়ে সরকারের কাজে যুক্ত রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে টাকার জন্য আবেদন করলেও কোনো কর্ণপাত করেনা বলে অভিযোগ। কাজ চলে যাওয়ার ভয়ে ১৯ মাস ধরে নিশ্চুপ ছিলেন কর্মীরা।অবশেষে সংসারের খরচ টানতে সমস্যা হওয়ায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন কর্মীরা।

এক কর্মী এনামুল হক বলেন,বাজারে সব জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া।সংসার চালাতে পারছিনা। তিনদিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর।টাকার অভাবে বাড়ির শিশুদের নতুন পোশাক নেওয়া যাচ্ছেনা। ১৯ মাসের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিলে স্বস্তি আসবে সংসারে।

আরেক কর্মী বলেন,মালতীপুর গ্রামীম হাসপাতাল থেকে ৫ কিমি থেকে ১০ কিমি দূর পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়ে যায় আমরা। সবাই প্রতিদিন টোটো ভাড়া করে যায়।টাকার দাবিতে একাধিক বার ব্লক ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরে জানালেও কোনো কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। বুধবার আবারও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।

চাঁচল-২ নং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মোহাম্মদ রবিউল আলম বলেন,কিছু টাকা বকেয়া র য়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কর্মীদের সমস্যার কথা জানিয়েছি। দ্রুত বকেয়া টাকা পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button