মহালয়ার রাতেই জনজোয়ারের সাক্ষী শ্রীভূমি – ‘বাংলা উৎসবে ফিরেছে’ – স্বস্তির নিঃশ্বাস শাসকের
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
মহালয়ার রাতেই জনজোয়ারের সাক্ষী শ্রীভূমি – তিরুপতি দর্শন করতে ‘উৎসবে’ ফিরলেন জনতা। পুজোয় আরও ভিড় বাড়বে। তুলনামূলক ফাঁকায় পুজো দেখতেই মহালয়ার রাতে ঠাকুর দেখে নিচ্ছেন বলেই দাবি দর্শনার্থীদের। বুধবার ছিল মহালয়া। আর ওই দিন থেকেই শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব,কল্যাণী আইটিআই-তে হাজার-হাজার মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
তিলোত্তমার বিচার চেয়ে আন্দোলন যখন তুঙ্গে, সেই সময় অর্থাৎ গত ৯ সেপ্টেম্বর উৎসবে ফেরার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “এক মাস হয়ে গিয়েছে। এবার উৎসবে ফিরুন।” সেই সময় দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা। প্রশ্ন তুলতে থাকে রাজ্যে এমন একটা স্পর্শকাতর ঘটনার পরও কীভাবে এমন কথা বলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ? এমনকী ‘উৎসবে ফিরছি না’ বলেও পোস্ট চলতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দেবাংশু লিখলেন, ‘শ্রীভূমি থেকে কল্যাণী আইটিআই মহালয়ার দিন থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে জনজোয়ার। যারা উৎসব বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন,উৎসবে ফিরছি না বলে পিওর বাম সুলভ স্লোগান তুলেছিলেন, সাধারণ মানুষ তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন। মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন গরিবের পেটে লাথি মেরে উৎসব বয়কট কোনও সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয়। মুখ্যমন্ত্রী সেই গরিব গুলোর জন্যেই বলেছিলেন উৎসবে আসুন..বলেননি, বিচার ভুলে উৎসবে ফিরুন..।’
এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে,তবে কি আপাতত প্রতিবাদের ল্যাটা চুকিয়ে উৎসবে ফিরছেন বঙ্গবাসী? যদিও বিষয়টি এমন ভাবে ব্যাখ্যা হলে অতি সরলীকরণ হবে বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের। তাঁদের মতে, আরও কয়েকটি দিন এগোলে উৎসবে কতটা ফিরলেন বাঙালি তার পরিমাপ হয়তো আরও স্পষ্ট হবে।আবার অরূপ চক্রবর্তী লিখলেন, ‘উৎসবে ফিরছি না কীভাবে মহালয়াতেই জনসমুদ্র হয়ে গেল ! কল্যাণী লুমিনাসেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ত্রিধারা-সুরুচি বড়িশা-বাদামতলা-নাকতলার ফিতে কাটা হয়ে গেলে কী হবে?….সুবিধাবাদী মাকুর দল আবার এই সুযোগে লাল শালু খাটিয়ে টাকা কামাতে প্যান্ডেলের পাশে বুকস্টলের বাঁশ বাঁধতে শুরু করে দিয়েছে।’