পুজোর মুখে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তি চরমে। হাসপাতালে হয়রানির শিকার রোগী ও তাদের পরিবাররা। এই পরিস্থিতিতেই এবার আশার আলো। পূর্ণ কর্মবিরতি কি প্রত্যাহার করবে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট ? ধর্মতলার সমাবেশে জল্পনা উস্কে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরাই।
বুধবার , মহালয়ার দিন একাধিক কর্মসূচি ছিল প্রতিবাদী চিকিৎসকদের। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করা হয়। সমাবেশের মঞ্চ থেকেই জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, “মহামিছিল প্রমাণ করল আমরা ঐক্যবদ্ধ। রাস্তা ছাড়ছি না। আন্দোলনই উৎসব। কর্মবিরতির পথ থেকে সরে আসলে মানুষের কথা ভেবে আসব। প্রয়োজনে জীবন বাজি রেখে আমরা বলব, আমরা নাগরিক আন্দোলনের পক্ষে। কারও নীতিজ্ঞান শুনে কাজে ফিরব না।”
আরজি কর কাণ্ডের পর ৫০ দিনেরও বেশি পথে বসেছিলেন চিকিৎসকরা। দীর্ঘ বৈঠক, টানাপোড়েন, সরকার পক্ষের সঙ্গে দর কষাকষির পর আংশিক কর্মবিরতি প্রত্য়াহার করেই কাজে ফিরেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার মধ্যেই সাগর দত্ত হাসপাতালের ঘটনা। ফের নিগ্রহের শিকার চিকিৎসক। এরপরই আবার কর্মবিরতিতে বসেছেন চিকিৎসকরা। আন্দোলনের ধরন বদলের ইঙ্গিত বাকিদের বক্তৃতাতেও। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আন্দোলনের ধরন বদলের ইঙ্গিত মিলছে। কোন পথে এই বদল হতে পারে ? সমাবেশ মঞ্চ থেকেই তিন ধরনের সম্ভাবনার কথা বললেন সিনিয়র চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ।
জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদারের কথায়, রাজ্যে নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে, হুমকিশ্রী, ফোঁসশ্রী। যারা হুমকি দিচ্ছেন, তাদের জেলশ্রী প্রকল্পে জেলে ঢোকানোর দাবি জানান জুনিয়র চিকিৎসকরা। বলেন, “রোগী-চিকিৎসক সবাই এক পক্ষে রয়েছে। আর সরকার অন্য পক্ষে। সরকার ঠিক করুক তারা অন্য পক্ষেই থাকবে নাকি এই পক্ষকে মেনে নেবে।”
