ঠিক দুপুর ১২টা নাগাদ সূর্যরশ্মি এসে পড়ল রামলালার কপালে। প্রায় ৬মিনিট ধরে যেন ঐশ্বরিক দৃশ্যের স্বাক্ষী থাকল অয্যোধার রামমন্দির। সবটাই সম্পূর্ণ হয়েছে প্রযুক্তির ভিত্তিতেই। এদিন সকাল থেকেই এই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় ছিলেন পুরোহিত থেকে ভক্তরা সকলে। ১২টা বাজতেই সূর্যরশ্মি এসে তিলক আঁকল। রামনবমীতে অযোধ্যায় সূর্যতিলকে অভিষেক রামলালার। জন্মতিথিতে বালক রামের তিলক আঁকলেন সূর্যদেব!
আইআইটি রুরকির বিজ্ঞানীরা সূর্যতিলকের জন্য একটি বিশেষ অপটো-মেকানিক্যাল সিস্টেম তৈরি করেছিলেন। মন্দিরের উপরের তলায় ইনস্টল করা একটি আয়নায় সূর্যের আলো পড়লে তা ঠিক ৯০ ডিগ্রিতে একটি পাইপের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে এসে রামলালার কপালে এসে পড়ে। নলের অন্য প্রান্তে দ্বিতীয় আয়না রাখা হয়। এই আয়না ব্যবহার করে সূর্যেররশ্মিকে আবার প্রতিফলিত করানো হয়। এর পরে এটি পিতলের নলের সাহায্যে আবার ৯০ ডিগ্রিতে প্রতিফলিত করানো হয়। এই সূর্য তিলকের মাপ ৭৫ মিমি।
রবিবার রামনবমী। সেই উপলক্ষ্যে অযোধ্যার রামমন্দিরে ভিড় উপচে পড়েছে। সঙ্গে সরযূ তীরে জ্বলল লক্ষ দীপ। রামলালার কপালে সূর্য তিলক – গতবারও এই ঘটনার স্বাক্ষী থেকেছে বিশ্ব। এবার একই ঘটনা দেখলেন ভক্তরা। প্রতি বছর রামনবমীর অযোধ্যার মন্দিরে এই দৃশ্যের স্বাক্ষী থাকতে পারবেন ভক্তরা।