ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হার, পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হেরে ব্যপক চাপে হার্দিকের মুম্বই

সোম সন্ধ্যায় ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ফের ব্যাট-বল হাতে জ্বলে ওঠেন মুম্বই ক্যাপ্টেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। এদিন টস জিতেই অধিনায়ক হার্দিকের মুখে ছিল চওড়া হাসি। কারণ দলে কামব্যাক করেছেন দুই স্তম্ভ জশপ্রীত বুমরাহ ও রোহিত শর্মা। যদিও দুই পোড়খাওয়া তারকাই এদিন বেশ নিষ্প্রভ ছিলেন। বোল্ট ও পাণ্ডিয়া দু’টি করে উইকেট তুলে নিলেও বুমরাহর ঝুলি শূন্যই থেকে যায়। দুরন্ত লড়াই করেও যদিও শেষমেশ জয়ের মুখ দেখা হয়নি।

বুমরাহর মতোই এদিন নিরাশ করলেন রোহিতও। ব্যাট হাতে যশ দয়ালের ডেলিভারিতে ১৭ রান করেই বোল্ড হয়ে যান ইমপ্যাক্ট হিটম্যান। উইল জ্যাকস (২২) এবং সূর্য কুমার যাদব (২৮) সেভাবে ক্রিজে জমতে পারেননি। বিরাট রানের লক্ষ্যে নেমে দলের হাল ধরেন হার্দিক ও তিলক বর্মা। তবে তাঁরা আউট হতেই ম্যাচ চলে যায় বেঙ্গালুরুর পকেটে। দেবদূত পাড়িক্কলের সঙ্গে জুটি বেঁধে বোলারদের রাতের ঘুম ওড়ান বিরাট। ৪২ বলে ৬৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। প্রথম ভারতীয় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১৩ হাজার রানের মালিকও হয়ে যান তিনি।

গত মরশুম থেকেই রোহিত শর্মার জুতোয় পা গলানো – কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি হার্দিককে। পাহাড় প্রমাণ ২২২ রান তাড়া করা তো মুখের কথা নয়। তবে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তিলক ও হার্দিক। কিন্তু ক্রুণাল পাণ্ডিয়া, হ্যাজেলউডদের দাপটে সেই লক্ষ্যে আর পৌঁছতে পারল না নীতা আম্বানির দল। এবার নিজেকে প্রমাণ করলেও অধিনায়ক হিসেবে দলকে জেতাতে ব্যর্থ তিনি। পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হেরে হার্দিক তথা মুম্বইয়ের চাপ যে বাড়ল, তা বলাইবাহুল্য।