দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে অংশ নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনা ঘিরে দলীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কর্মী-সমর্থকদের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিলীপের ও তাঁর স্ত্রীর একটি আলাপচারিতার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তাঁর দলত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিঘা থেকেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দিলীপ। তিনি নাম উল্লেখ না করেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সৌমিত্র খাঁসহ কয়েকজনের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। বলেন, “মমতার আঁচলের তলায় থেকে বড় হয়ে আমাকে বিজেপি শেখাচ্ছে।” দিলীপ স্পষ্ট জানান, “রাজনীতি ছাড়লেও পার্টি ছাড়ব না।”
বৃহস্পতিবারও দিলীপ দিঘাতে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “কাল আমি জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে এসেছি। তা নিয়ে বহু তর্ক বিতর্ক হচ্ছে। তবে ভগবানকে তর্কের উপরে রাখা উচিত। অদ্ভুত বিষয়, আমি কেন ভগবানের কাছে এসেছি, তা নিয়ে প্রশ্ন! আমি সেই ছোট থেকেই ভগবানের নামে কাজ করে চলেছি।
আমি বিশ্বাস করি, মন্দির যেই তৈরি করুন ভগবান সবার। পশ্চিমবঙ্গে সব কিছুতেই রাজনীতি।” এরপরই তিনি মন্তব্য করেন, “আমার দলের কর্মীরা কেউ কেউ খুব কষ্ট পেয়েছেন দেখছি। ভাবছেন, সুইসাইড করবেন কি না। তাদের বলছি বিজেপি করতে গেলে হতাশায় ভুগলে চলবে না। চোখের জল ফেলবেন না। আমরা রক্ত দিয়ে দলটাকে বাংলায় এই জায়গায় এনেছি। বিজেপির কর্মীরা ভয়, সন্দেহ করে না। যে দিন থেকে দলে এসব ঢুকেছে সেদিন থেকে পিছনের দিকে এগোচ্ছে।”
পরে শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে দিলীপ বলেন, “দিলীপ ঘোষের দিকে আঙুল তোলার হিম্মত কারও নেই। আমাকে হিন্দুত্ব বোঝাবেন না। যারা বড় কথা বলছেন তাঁরা মমতার আঁচলের তলায় থেকে বড় হয়েছেন!” সৌমিত্র খাঁ-কে কটাক্ষ করে বলেন, “যারা চারটে গার্লফ্রেন্ড রাখে, রাতের জীবন একরকম দিনের জীবন অন্য, তাঁরা দিলীপকে ভোগী বলছে! মানুষ জানে দিলীপ ঘোষ কী।” যদিও তিনি কিছু নেতার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, তবুও পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তিনি বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন এবং থাকবেন। দলের ভিতর থেকে কেউ তাঁকে সরানোর চেষ্টা করলেও, তিনি বলেন, “লাভ হবে না।” কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “ভয় পাবেন না।”