স্নায়ুতন্ত্রে কোভিডের আঘাত! কোমায় ৯ দিন থেকে প্রাণ হারাল শিশু, উদ্বেগে বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
ফুসফুসের ক্ষতি তো করেই, এবার কোভিড ভাইরাস ধাক্কা মারল স্নায়ুতন্ত্রেও। আগে চোখের দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়া কিংবা হার্ট অ্যাটাকের পেছনে এই ভাইরাসকে দায়ী করা হলেও, এবার চিনে ঘটে গেল আরও একটি বিরল ঘটনা। চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী, সেখানে মাত্র আট বছরের একটি মেয়েশিশুর মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটায় এই মারণ ভাইরাস। যার ফলে সে কোমায় চলে যায় এবং শেষপর্যন্ত প্রাণ হারায়।
বিশ্বজুড়ে একসময়ে দুই বছর ধরে তাণ্ডব চালিয়েছিল কোভিড-১৯। তখন থেকেই ভাইরাসটির মারাত্মক দিকগুলি সামনে আসছিল। চিনের চিকিৎসকদের মতে, আক্রান্ত শিশুর প্রথমে জ্বর দেখা দেয়। তারপর শুরু হয় খিঁচুনি ও মাথার প্রচণ্ড যন্ত্রণা। ধীরে ধীরে গোটা শরীরে ফুসকুড়ি দেখা যায়, এবং পরে বমির উপসর্গও দেখা যায়।
শুরুতে কেউ বুঝতে পারেননি শিশুটি কোভিডে আক্রান্ত। পরীক্ষা না হওয়ায় ভাইরাসটি ধরা পড়েনি। হঠাৎ করেই তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি শুরু হয় — মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে, শরীর শক্ত হয়ে যায়, নিঃশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটে। পরে তাকে ভর্তি করা হয় “গুয়াংজু মহিলা ও শিশু চিকিৎসা কেন্দ্রে”। পরীক্ষায় ধরা পড়ে সে আক্রান্ত “অ্যাকিউট নেক্রোটাইজিং এনসেফালোপ্যাথি” নামে এক বিরল মস্তিষ্কের রোগে। চিকিৎসকদের দাবি, এই রোগের উৎস ছিল কোভিড সংক্রমণ। টানা নয় দিন কোমায় থাকার পর, তাকে “ব্রেন ডেথ” বলে ঘোষণা করা হয়।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর ফের নতুন করে উদ্বেগে ভুগছে বিশ্ববাসী। বিশেষজ্ঞদের মতে, “কোভিড ভাইরাস স্নায়ুতন্ত্রেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে এবং মস্তিষ্কেও পৌঁছনো সম্ভব”। যদিও এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বিরল বলেই তারা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। “হংকং, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর”-এ কোভিড ফের বাড়তে শুরু করেছে। আর “ভারতে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫০-এর বেশি” বলে জানা গিয়েছে।