জানা-অজানা

যেখান থেকে জাহাজ আর বিমান ফিরে আসতে পারে না কখনও!

যেখান থেকে জাহাজ আর বিমান ফিরে আসতে পারে না কখনও! - West Bengal News 24

জায়গাটি দেখতে ত্রিভুজাকৃতি। যেটি এখনো অমীমাংসিত রহস্যে ঘেরা । যেখানে জাহাজ কিংবা বিমান প্রবেশ করলে হারিয়ে যায় এক অজানা জগতে। এমন কি মানুষ পর্যন্ত হারিয়ে যায়। পরে এদের আর কোন হদিস পাওয়া যায় না। আর এই সব জাহাজডুবি বা বিমানের ধ্বংসাবশেষ এবং মানুষের মৃতদেহের কোন হদিস পাওয়া যায় না। বলছিলাম ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’ ত্রিভুজক্ষেত্রটির কথা। এটি শয়তানের ত্রিভূজ নামেও পরিচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই বিশেষ ভৌগলিক ত্রিভুজক্ষেত্রটি অতিক্রম করার সময় নাকি অধিকাংশ জাহাজ, বিমান প্রভৃতি রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যায়। মূলত এটা কিন্তু জ্যামিতিক কোনো ভূ-খন্ড নয় বরং ফ্লোরিডার মেলবোর্ন থেকে বারমুডা দ্বীপপুঞ্জ হয়ে পুয়ার্টো রিকা এবং সেখান থেকে আবারো মেলবোর্ন পর্যন্ত কাল্পনিক রেখা টানলেই পাওয়া যায় অসংখ্য রহস্যের জন্ম দেয়া এই অভিশপ্ত ত্রিভুজ কে, যা আয়তনে প্রায় ৪৪০০০০ বর্গ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর ভেতর প্রবেশ করলেই জাহাজ, বিমান প্রভৃতির এমন হুট করে হারিয়ে যাবার ঘটনার পেছনের প্রকৃত কারণ আজও জানা সম্ভব হয়নি । ১৯৭৪ থেকে ‘৭৬ সালের ভেতর যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় পাঁচ শতাধিক জাহাজ এবং বিমান নিখোঁজ হয় এবং তার একটা বড় শতাংশই হারিয়েছে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল-এর মাঝেই। এছাড়াও আরো বেশ কিছু নিখোঁজ এর ঘটনা আছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল-কে কেন্দ্র করে, যেগুলোর কথা খুব পরিষ্কারভাবে জানা সম্ভব হয়নি আজও।

অনেকে মনে করেন ঐ সকল অন্তর্ধানের কারণ নিছক দূর্ঘটনা, যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। কেউ কেউ মনে করেন, অগ্ন্যুৎপাত এর ফলে জাহাজগুলোতে আগুন লাগে এবং যাত্রীরা আতংকিত হয়ে জাহাজগুলো ত্যাগ করে এবং তারাও নিখোঁজ হয়ে যায়। আবার চলতি উপকথা অনুসারে এসবের পেছনে দায়ী হল কোন অতিপ্রকৃতিক কোন শক্তি বা ভিনগ্রহের কোন প্রাণীর উপস্থিতি। তবে এখনো এইসব অনুমানের সত্যতা প্রমাণ হয়নি । বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য রহস্যেই থেকে গেল ।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে দিনের পর দিন গবেষণা চলছে। এছাড়া অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি এটি নিয়ে অনেক কথা লিখে গেছেন। যেসব বিখ্যাত ব্যক্তিরা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে লিখেছেন তাদের মধ্যে ক্রিস্টোফার কলম্বাস একজন। তিনি ১৪৯২ সালে তার লগ বইতে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের সর্ম্পকে লিখেছেন,এখানে আসার পরে তার কম্পাস কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং উল্টাপাল্টা দিক নির্দেশনা করে। তার নাবিকেরা আকাশে আলোর নাচানাচি দেখেছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য