কোমলমতি নারী থেকে ভয়ঙ্কর খুনি, জেনে নিন জনের কাহিনী
নারী কোমলমতি, নারী ছায়াদানকারী, স্নেহমমতায় ভরপুর। তবে এতকিছুর ভিড়ে নারীরা যে সিরিয়াল কিলারও হতে পারে- সে কথা কয়জনে ভেবেছেন? ঘরের ছোট্ট রাজত্ব থেকে বের হয়ে একের পর এক খুন করে বেড়ানো সেই পাঁচ নারীর ভয়াবহতা সম্পর্কে আলোচনা করলেও ভেতরে যেন বিস্ময়ের জন্ম নেয়। একেকটি নারী যেন সিনেমা জগতের একেকজন ‘জন উইক’!
লিওনার্দা চিয়ানচিউলি
ইতালির এই নারী হত্যা করেছেন মোট তিনজনকে। কিন্তু হত্যার কিন্তু ছিল নেহাতি ছেলেমি। নিজের সন্তানকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যেতে হবে শুনে ভীত হয়ে পড়েন লিওনার্দা। সন্তানকে যুদ্ধ থেকে দূরে রেখে বাঁচানোর একটাই উপায় এলো মাথায়। লিওনার্দা ভাবলেন, সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে অন্যের প্রাণ উৎসর্গ করলে ছেলেকে বাঁচানো যাবে। তারপর একে একে তিনজন মধ্যবয়সি নারীকে হত্যা করেন লিওনার্দা।
অ্যার্জেবেত বাথোরি
তার জন্ম হাঙ্গেরিতে ১৫৬০ সালে। তার গল্প শুনলে মনে হবে কোনো ভৌতিক ছবির কাহিনি। ৫৪ বছরের জীবনে তিনি ৮০ থেকে ৬০০ জনকে খুন করেছিলেন। যাদের খুন করতেন, তাদের রক্ত দিয়ে গোসলও করতেন অ্যার্জেবেত বাথোরি। ভয়ঙ্কর খুনি হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম আছে তার। তিনি ১৬১৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
ব্লাক উইডো
না, মারভেল কমিকের চরিত্র নয়, তার জন্ম নরওয়ের বেল গানেসের ১৮৫৯। ইতিহাসে ইনি ‘ব্লাক উইডো’ নামে পরিচিত। নরওয়ের এই নারী জীবনে ৪০ জনের মতো মানুষকে হত্যা করেছেন। নিহতদের মধ্যে তার স্বামী, পানি প্রার্থী, বোন, এমনকি সন্তানও ছিল বলে ধারণা করা হয়। খুনের সাক্ষী না রাখতে গিয়ে অনেক জনকে হত্যা করতে হয়েছে তিনি ১৯০৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
আয়েলিন ক্যারল ওয়ারনো
যুক্তরাষ্ট্রের আয়েলিন ক্যারল ওয়ারনোস সাতজনকে খুন করেছিলেন। আয়েলিনের দাবি, ওই সাতজন পতিতা হিসেবে কাজ করার সময় তাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল, আত্মরক্ষার্থে হত্যা করেন তিনি। এ দাবির সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ফ্লোরিডার আদালত। তার জীবনকাহিনী থেকে পূর্ণ দৈর্ঘ্য ছবি ‘মনস্টার’ এ আয়েলিনের চরিত্র অভিনয় করার জন্য অস্কার জেতেন শার্লিজ থেরন।
হুয়ানা বারাথা
১৯৫৭ সালে মেক্সিকোতে জন্ম হুয়ানা বারাথার। পেশায় কুস্তিগির হুয়ানাকে ঠান্ডা মাথার সিরিয়াল কিলার হিসেবেই চেনে সবাই। আনুমানিক ১১ জনকে খুন করেছেন তিনি। আরো ৪৯ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পেছনেও তার হাত আছে বলে সন্দেহ করা হয়। ১১ জনকে খুন করার জন্য ৭৫৯ বছরের জেল হয়েছে তার। এখনো জেলেই আছেন তিনি।