মস্তিষ্ক মেরামত করবে হলুদ
দেহের রক্তের মাত্র ২ শতাংশ মস্তিষ্ক ব্যাবহার করে থাকে। কিন্তু মস্তিষ্ক কোষগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল। অক্সিজেন বা শর্করা সরবরাহে সমস্যা হলে দ্রুত এই কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ওই কোষগুলো শরীরের যে অংশ নিয়ন্ত্রণ করে ওই অংশগুলো পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে। যাকে বলে স্ট্রোক। কিন্তু সেই স্নায়ু সমস্যাই সেরে উঠবে আপনার ঘরের হলুদে।
এক গবেষণায় জানা গেছে, হলুদ অ্যারোমেটিক টিউমেরন নামে একটি উপাদান স্নায়ু সমস্য সারিয়ে তুলতে ওষুধের কাজ করে। এতে সেরে উঠে স্ট্রোক এবং অ্যালজাইমার। আসলে এই উপাদান মস্তিষ্ক কোষের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে, যা রোগ সারিয়ে তোলায় সহায়ক।
জার্মানিতে রিসার্চ সেন্টার জুয়েলিচে ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স এবং মেডিসিনের বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের ওপর অ্যারোমেটিক টিউমেরন প্রয়োগ করে এ পরীক্ষা করেছেন। ইঁদুরের মস্তিষ্কে অ্যারোমেটিক টিউমেরন ইনজেক্ট করা হয়। এর ফলে মস্তিষ্কের যে অংশে স্নায়ু কোষ বৃদ্ধি পায়, তা প্রভাবিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, হলুদের ওই উপাদানের প্রভাবে স্নায়ু কোষের বৃদ্ধি আরো দ্রুতগতিতে হচ্ছে। অবশ্য মানবশরীর বা অন্য কোনো স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া খুব ভালো কাজ করবে কি না তা নিয়ে চলছে গবেষণা।
ওই গবেষক দলের বিজ্ঞানী মারিয়া এডেল রুইগার জানান, মানুষের মস্তিষ্ক সারিয়ে তুলতে এই প্রক্রিয়া এখানো পর্যাপ্ত নয়। তবে মাছ বা কোনো ছোট প্রাণীর ক্ষেত্রে তা কার্যকরী।