এই ৫ বিপজ্জনক ভাইরাস তাণ্ডব চালিয়েছে পুরো বিশ্বে
২০২০ সালে বিশ্ব এক নতুন ভয়ঙ্কর শত্রুর সম্মুখীন হয়েছে। ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে কোটি কোটি মানুষকে। চীনের উহান শহর থেকে একটি ছোট্ট ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের প্রতিটি কোণায়। করোনা ভাইরাস এখন বিশ্বব্যাপি মহামারী রূপে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এটাই প্রথম নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অনেক মহামারি হয়েছে যা কেড়ে নিয়েছে হাজারো মানুষের প্রাণ বা মানুষকে করে তুলেছে অসহায়। ইতিহাসে এর আগে যেসব রোগ মহামারি রূপ নিয়েছিল সেগুলো নিয়েই আজ একটু জেনে নিন সংক্ষেপে।
১. ইবোলা: ১৯৭৬ সালে এ ভাইরাসের কথা জানা গিয়েছিলো। এই ইবোলাভাইরাসে মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। ২০১৪ ও ২০১৬ সালের মধ্য আফ্রিকায় বড় প্রাদুর্ভাবে অন্তত ১১ হাজার মানুষ মারা গেছে এর দাপটে। এই অসুখের ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার করা যায়নি এখন পর্যন্ত। জ্বর, এক্ষেত্রে গলা ব্যথা, পেশীর ব্যথা, এবং মাথা ধরার লক্ষণগুলো ধরা পড়ে ভাইরাস সংক্রমণের দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর।
২. সার্স ভাইরাস: সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি ভাইরাসটি প্রথম আসে চীন থেকে। খাটাশ জাতীয় বিড়াল থেকে ভাইরাসটি এসেছে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে দু’বার এর প্রভাব দেখা দিয়েছিল। এর মধ্যে আবার ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়। ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় আক্রান্তের মধ্যে।
আরও পড়ুন : যে খাবারের গন্ধে পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হবে মহিলারা!
৩. মার্স ভাইরাস: ২০১২ সালে প্রথম সৌদি আরবে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলো। সার্সের গোত্রীয় ভাইরাস এটি। ৩৫ শতাংশ মারা গেছেন। উট থেকে নাকি মানুষের দেহে তা ছড়িয়ে পড়েছিল।
৪. নিপাহ ভাইরাস: বাদুড় থেকে পশুপাখি ও মানুষের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে এই বিশেষ ভাইরাসটি। এ রোগের লক্ষণ হলো জ্বর, বমি কিংবা মাথাব্যথা। কোনো প্রতিষেধক এখনো বের হয়নি একে দমন করতে। মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ। ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ায় শূকরের মধ্যে প্রথম এ রোগ চিহ্নিত হয়েছিলো।
৫. মারবুর্গ ভাইরাস: ইবোলার মতোই এর উৎস হিসেবে বাদুড়কেই মনে করা হয়। ১৯৬৭ সালে মারবুর্গে প্রথম ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ায় এর এই নামকরণ করা হয়েছে।