‘পেগাসাস পেগাসাস, নরেন্দ্র মোদীর নাভিশ্বাস’, পেগাসাস ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদী সরকার তথা বিজেপিকে কোনঠাসা করতে হবে। বুধবার ২১ জুলাই-এর মঞ্চ থেকে এমনই বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলগুলিকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, পেগাসাস ইস্যুতে ‘উসকো ছোড়না নেহি’। শরদ পওয়ার, পি চিদম্বরম’কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মোদী সরকার সকলকেই কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে হেনস্থা করেছে। তাই, এই ক্ষেত্রেও তাদের এতটুকু জমি দেওয়া যাবে না।
এদিন, তিনি সকল বিরোধী দলগুলিকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানান। কারণ, পেগাসাস কাণ্ড তাঁর মতে গণতন্ত্রে শেষ পেরেক। তিনি বলেন গণতন্ত্রের তিনটি স্তম্ভ – নির্বাচন ব্যবস্থা, সংবাদমাধ্যম এবং বিচার ব্যবস্থা। এই তিনটি ভিতই পেগাসাস-এর মাধ্যমে দখল করেছে বিজেপি। সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা, এমনকী নিজেদের মন্ত্রীদেরও এবং বিচারপতিদেরও ফোন ট্য়াপ করা হয়েছে। এরপরই তিনি সুপ্রিম কোর্টকে এই বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত পরিচালনার আবেদন জানান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর সহ যাদের ফোন ট্যাপ হয়েছে, তাদের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়। তাই তাঁর ফোনও ট্যাপ হয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, এই অবস্থায় বিচার ব্যবস্থাই ভারতকে বাঁচাতে পারে।
বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে সংসদে চাপে পড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, এমনকী খোদ নয়া আইটি মন্ত্রী বৈষ্ণব-এরফোন ট্যাপ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকী ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস-এর মিটিং-এও আড়ি পাতা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
সংসদ ও সংসদের বাইরে এই নিয়ে আন্দোলন তীব্র করার ডাক দিলেন মমতা। বাংলাতেও প্রতিদিন তৃণমূল কর্মীদের পেগাসাস, মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী।
সূত্র : এশিয়া নেট