দিল্লিতে আজ মুখোমুখি মোদী-মমতা! বাংলার ক্ষমতায় ফেরার পর প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মমতা
আজ ফের একবার মুখোমুখি মোদী-মমতা। আজকের আগে শেষবার সাইক্লোন ইয়াসের রিভিউ মিটিংয়ে উভয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকের স্মৃতি মোটেও ভাল ছিল না। তারপর বারবার কেন্দ্র এবং রাজ্য সংঘাতে জড়িয়েছে। সেই বৈঠকের রেশও অনেকদিন বজায় ছিল।
সেই বৈঠকের পর, ২৭ জুলাই ২০২১-এ আরেক বৈঠকে বসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই স্বাভাবিকভাবেই গোটা দেশের নজর আজকের বৈঠকের দিকেই। বিশেষ করে, রাজনৈতিক মহল এই বৈঠকের দিকে চেয়ে আছে।
উল্লেখ্য, কলাইকুন্ডায় বৈঠকের শেষে মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী দুই পক্ষই একে অন্যের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। সংঘাত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। সেই সময় বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ওই বৈঠক নিয়ে টুইট করে লিখেছিলেন, ‘রিভিউ বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি রাজ্যের মানুষের স্বার্থ স্বার্থসিদ্ধির কারণেই জরুরি।
এই মুহূর্তে সংঘাত হলে তা রাজ্য বা গণতন্ত্র কোনও কিছুর পক্ষেই ততটা শুভ নয়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সংশ্লিষ্ট অফিসারদের অনুপস্থিতি আসলে সাংবিধানিক আইনের শাসনকে ক্ষুণ্ণ করে।’
আবার অন্যদিকে এই বৈঠক প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, এই বৈঠকে শুধুই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থাকার কথা ছিল। যদিও পরে তা হয়নি। মমতা আরও বলেন যে, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেছি আমাকে বলা হয়, তিনি অন্য মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন, আমারও পূর্বনির্ধারিত কিছু কাজ আছে তাই আমি তার সঙ্গে দেখা করে অনুমতি নিয়েই বেরিয়ে এসেছি।’
সেই পর্বের পর আজ ফের মোদী-মমতা বৈঠকে বসছেন। তবে, এর মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভ্যাকসিনের জোগান, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনেক চিঠি লিখেছেন। তবে, এবারের বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিকের পেগাসাস ইত্যাদি বিতর্কিত ইস্যুগুলি বৈঠকে তুলে আনতে পারেন।
তাই মোদী-মমতার মধ্যে কথাবার্তা কোনদিকে গড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, বাংলার ক্ষমতায় তৃতীয়বারের জন্য ফেরার পর এই প্রথম নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী শিবিরও এই বৈঠকের অপেক্ষায় ছিল বাংলার শাসক শিবিরের মতোই।
সংসদের বাদল অধিবেশনের মাঝেই দিল্লিতে উপস্থিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই উপস্থিতি দলীয় সাংসদদের যেমন উজ্জীবিত রাখছে তেমনি চাপে রাখছে বিজেপি শিবিরকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর এই প্রথম দিল্লি যাত্রা মমতার। এবার লক্ষ্য আরও বড়।
তিনি চাইছেন ২০২৪ -এর জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে। একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকেই তিনি ফ্রন্ট গড়ার ডাক দিয়ে দিয়েছেন। তাঁর দিল্লি যাত্রা সেই ফ্রন্টের কাজ আরও এগোনোর জন্যই। নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও আজ কংগ্রেস নেতার সঙ্গে দেখা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সূত্র :বং নিউজ