মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোকে কার্যত রুটিনে পরিণত করে ফেলেছেন। এতদিন ইনিয়েবিনিয়ে বললেও গোয়া সফরে সোজাসুজি বলে দিয়েছেন, কংগ্রেসের দুর্বলতার জন্যই মোদীজি শক্তিশালী হচ্ছেন। পরিস্থিতি যখন এমনই তখন বাংলায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংদেবক সঙ্ঘের (RSS) শাখা বৃদ্ধি নিয়ে এবার তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর বিরুদ্ধে চড়া সুরে আক্রমণ শানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোক্সভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর বলেন, ‘তৃণমূলের আমলে বাংলায় শাখা বাড়াচ্ছে আরএসএস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করছেন?’ সেইসঙ্গে অধীরের সংযোজন, ‘বিজেপি আর তৃণমূলের রাজনৈতিক ডিএনএ এক। কোনও ফারাক নেই।’
কিন্তু একুশের বিধানসভায় বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোটের শূন্য পাওয়া এমনকি প্রদেশ সভাপতির নিজের জেলা মুর্শিদাবাদেও জামানত জব্দ দশা, নিজের পাড়া বহরমপুরে হার এবং তার পরবর্তীতে দিল্লি থেকে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কালীঘাটের প্রতি নরম মনোভাব—সব মিলিয়েই অধীরবাবু কিছুটা ব্রেক কষেছিলেন।
আরও পড়ুন : গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত ভিকি, মুম্বই থেকে পাকড়াও
চব্বিশের দিকে তাকিয়ে ভবানীপুরের ভোটে প্রার্থীও দেয়নি বিধান ভবন। কিন্তু যেই মমতা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আগ্রাসী হয়েছেন ওমনি পুরনো মেজাজে বহরমপুরের সাংসদ। একথা ঠিক গত ১০-১১ বছরে বাংলায় সঙ্ঘের শাখার সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। এ ব্যাপারে বাম নেতারা প্রায়ই বলেন, তৃণমূলের মদত ছাড়া এইরকম একটা বিদ্বেষ ছড়ানোর শক্তি বাড়ানো সম্ভব নয়। এদিন সেই একই কথা বলতে চাইলেন অধীরও। সম্প্রতিই আরএসএসের কেন্দ্রীয় মন্থন শিবির শেষ হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে বাংলার সংগঠন বিস্তার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে বাংলার প্রান্ত প্রচারক হিসেবে নিয়োগ করেছে নাগপুর। নভেম্বর মাসেই বাংলা সফরের কথা রয়েছে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের। এসবের মধ্যেই এদিন অধীর আরএসএস-এর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে নিশানা করলেন মমতাকেই।
সুত্র : দ্য ওয়াল