পর্যটন

মিশরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানগুলো

মিশরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানগুলো - West Bengal News 24

প্রাচীন সভ্যতার জন্য বিখ্যাত মিশর। এই দেশটিতে আছে বিভিন্ন ধরণের মনুমেন্ট, পিরামিড, স্ফিংস এর মূর্তি এবং প্রাচীন ফারাও রাজাদের আবাসস্থল। মরুভূমি ও বিখ্যাত নীলনদ মিশরেই অবস্থিত। পর্যটকদের জন্য অনেক কিছু করার ও দেখার আছে মিশরে। কালচার, অ্যাডভেঞ্চার ও রিলাক্সেশনের সঠিক সমন্বয় লক্ষ্য করা যায় এই দেশটিতে। উত্তর আফ্রিকার পূর্ব প্রান্তের মরুভূমি ঘেরা দেশ মিশর। ইজিপ্টে ঘুরতে গেলে যে স্থানগুলোতে যাবেন সেগুলো সম্পর্কে জানবো এবার।

১। গিজার পিরামিড
মিশরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে গিজার পিরামিড যা গিজার কবরস্থান নামেও পরিচিত। প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি এই পিরামিড গুলো। মিশরের রাজাদের সমাধিস্থল হচ্ছে পিরামিড। ফারাও রাজাদের মৃতদেহ মমি করে রাখা আছে এই পিরামিডের মধ্যে। কায়রো শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে মরুভূমির মধ্যে নীলনদ বরাবর অবস্থিত গিজার পিরামিড। গিজাতে আছে ৩টি পিরামিড- খুফু, খাফ্রে ও মেংকাউরে পিরামিড। খুফুর পিরামিড ৪৫৫ ফুট উঁচু। এই বৃহৎ পিরামিডের সামনে স্ফিংস নামক মূর্তি আছে যার দেহটি সিংহ এর ও মাথাটি মানুষের। এই মূর্তিটি ৬৬ ফুট উঁচু।

২। কারনাক ট্যাম্পেল
মিশরের অনেক চিত্তাকর্ষক মন্দির গুলোর মধ্যে কারনাক মন্দির প্রাচীনতম। কারনাক মন্দিরটি প্রাচীন বৃহত্তম ধর্মীয় স্থাপনা। মিশরের নির্মাণশিল্পীদের কৃতিত্বের প্রতিনিধিত্ব করছে এটি।

৩। রেড সি রিফ
ডাইভিং এর জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা মিশরের লোহিত সাগর। লোহিত সাগরের এই প্রবাল প্রাচীরে হাজার হাজার সামুদ্রিক প্রাণী আছে।

৪। নীল নদ
মিশরের জাহাজে চড়ে নীলনদ পরিদর্শন করা অনেক জনপ্রিয়। প্রাচীনকাল থেকেই নীলনদ মিশরের জনগণের সাহায্যে কাজে লাগে। নীল নদের পাল তোলা নৌকাগুলোকে ফেলুক্কাস বলে।

৫। ভ্যালি অফ দা কিং
এটি লুক্সর এর কাছাকাছি অবস্থিত উপত্যকা যা রাজা ও রাজার পরিষদবর্গের জন্য নির্মাণ করা হয়। ১৬ থেকে ১১ শতকের ৫০০ বছর পূর্বে এটি নির্মাণ করা হয়। এই উপত্যকায় ৬৩ টি সমাধি ও ১২০ টি প্রকোষ্ঠ আছে। রাজকীয় সমাধিটি মিশরীয় পুরাণের কাহিনীর দৃশ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে যা দেখে প্রাচীন যুগের বিশ্বাস ও ধর্মানুষ্ঠান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

৬। আবু সিম্বেল
মিশরের দক্ষিণাঞ্চলে লেক নাসের এর পশ্চিম তীরে আবু সিম্বেল অবস্থিত যা একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। দুটি বিশাল আকৃতির পাথর কেটে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। এই জোড়া মন্দিরটি ফারাও রাজা রামেসেসের দ্যা গ্রেট তার ও তার স্ত্রী নেফারতারির সমাধির জন্য নির্মাণ করেছিলেন ১৩শ শতকে। আসওয়ান বাঁধ নির্মাণের সময় লেক নাসের এর মধ্যে ডুবে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয় বলে ১৯৬০ সালে এটি স্থানান্তরিত করা হয়। এটি মিশরের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণ কেন্দ্র।

এছাড়াও ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম, সিওয়া মরূদ্যান, দাহাব, ইবনে তুলুন মসজিদ, কায়রো মিউজিয়াম, ডেন্ডেরা, হোয়াইট ডেসার্ট, আলেকজান্দ্রিয়া, সেন্ট ক্যাথরিনের মঠ ইত্যাদি স্থানগুলোও মিশরের পর্যটক আকর্ষণীয় স্থান।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য