স্বাস্থ্য

দিনে ১০ ঘন্টা ঘুমান? সম্ভবত বিষণ্ণতায় ভুগছেন আপনি

দিনে ১০ ঘন্টা ঘুমান? সম্ভবত বিষণ্ণতায় ভুগছেন আপনি - West Bengal News 24

এটা অনেকেই জানে যে ইনসমনিয়া ডিপ্রেশনেরই একটি লক্ষণ। সাধারণ জনগনের ৩০% এরই ইনসমনিয়া বা ঘুমের সমস্যা থাকে। আবার অনেক মানুষই অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকে এবং এর ফলে ক্লান্ত অনুভব করে। আপনি যদি দিনে ১০ঘন্টা ঘুমানোর পর ও পরিশ্রান্ত ও অলস বোধ করেন তাহলে আপনি সম্ভবত ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতায় ভুগছেন যা নিজেও জানেন না।

২০১৪ সালে দ্যা পাবলিক লাইব্রেরী অফ সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, অত্যধিক ঘুমানোর সাথে দীর্ঘমেয়াদী রোগের কোন সম্পর্ক নাই। এটি হতে পারে মানসিক কোন ব্যাধির লক্ষণ। এই গবেষণাটি ১৫-৮৫ বছর বয়সের ২৪,৬৭১ জনকে নিয়ে করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেকের ঘুমের সময় পরিমাপ করা হয়। “দীর্ঘক্ষণ ঘুমানো” ও “অল্প সময় ঘুমানো” মানুষদের আলাদা করা হয়। ডাক্তার দেখেন যে এদের গড়পড়তা ঘুমের সময় ৭ ঘন্টা ১৩ মিনিট এবং এদের মধ্যে শুধুমাত্র ৬১২ জন অর্থাৎ ২.৭ শতাংশ মানুষ দিনে ১০ ঘন্টার বেশি ঘুমায়।

এদের মধ্যে যারা ৭ ঘন্টার কম ঘুমিয়েছেন তারা ক্রনিক ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে বেশি। আর যাদের বেশিক্ষণ ঘুমানোর অভ্যাস ছিল তাদের সাইক্রিয়াট্রিক ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আসলে বেশিক্ষণ ঘুমানোর অভ্যাস উচ্চ মাত্রায় ডিপ্রেশনে ভোগার সাথে সম্পর্কিত কারণ এদের অতীতে আঘাত পাওয়ার রিপোর্ট আছে। বিষণ্ণতা ডাইসেনিয়ার সাথেও সম্পর্কিত, এটি হচ্ছে ঘুম ছাড়াও বিছানায় শুয়ে থাকার অভ্যাস অথবা এটি হতে পারে হাইপারসমনিয়ার জন্য, যার কারণে সব সময় ঘুম ঘুম ভাব থাকে। যারা হাইপারসমনিয়ায় ভোগেন তারা উদ্বিগ্নতা, এনার্জি কমে যাওয়া ও স্মৃতির সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়।

ঔষধের প্রতিক্রিয়ার কারণেও অনেকের বেশি ঘুম হয়। আবার অনেকে বেশি ঘুমাতে চান বলেই বেশি ঘুমান। ডিপ্রেশনে ভুগছেন এমন মানুষদের ১৫% এরই বেশি ঘুমানোর অভ্যাস দেখা যায়। সেন্টার ফর স্লিপ এন্ড অয়েক ডিসঅর্ডারের ডাইরেক্টর হেলেন এমসেলেম বলেন, “কখনো মানুষের অত্যধিক ঘুমের চাহিদা নিম্ন মাত্রার ডিপ্রেশনকে নির্দেশ করে যদিও তারা অসুখি অনুভব করেনা। তাদের নিউরোক্যামিকেল জটিলতার ফলে ডিপ্রেশন থাকতে পারে”। বিষণ্ণতার চিকিৎসা করলে ঘুমের চাহিদা কমে। যদিও অ্যান্টি ডিপ্রেশন মেডিসিন অনেক সময় মানুষকে অধিক ঘুমাতে সাহায্য করে। বংশগত বৈশিষ্ট্যের কারণেও অনেকের ঘুম বেশি হয়ে থাকে।

জ্ঞানীয় ও মানসিক প্রক্রিয়ার উপর ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার ঘুমের ধরণ আপনার স্বাস্থ্য ও ভালোথাকাকে নির্দেশ করে। যদি অনেকক্ষণ যাবত আপনার বিছানায় থাকতে ইচ্ছে করে এবং এর পাশাপাশি বিষণ্ণতার অন্য লক্ষণগুলোও প্রকাশ পায় তাহলে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য