স্বাস্থ্য

মাথাব্যথা হলেই মাইগ্রেন নয়

মাথাব্যথা হলেই মাইগ্রেন নয় - West Bengal News 24

মাথাব্যথা হলেই একে অনেকে মাইগ্রেন বলে ভুল করেন। নানা কারণেই মাথাব্যথা হতে পারে যেমন: জলশূন্যতা, উদ্বেগ, কাজের চাপ, উত্তেজনা, পিরিয়ড, অত্যধিক শব্দের মধ্যে বেশিক্ষণ অবস্থান ইত্যাদি। এগুলো কোনো একটি কারণ মাথাব্যথা হলেই তাকে মাইগ্রেন বলে ধরে নেবেন না।

আগে জেনে নিন মাইগ্রেন কেন হয়
মাথাব্যথার বড় কারণ হচ্ছে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা। আর এই রক্ত সঞ্চালনের তারতম্যের কারণেই মাইগ্রেন হয়। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে চোখে অন্ধকার দেখা বা মাথা ঘোরা, ঝিমঝিম করা ইত্যাদি সমস্যা হয়। পরে রক্ত চলাচল হঠাৎ বেড়ে গেলে প্রচণ্ড মাথাব্যথার অনুভূতি তৈরি হয়। এটাই মাইগ্রেন। চকলেট, পনির, কফি ইত্যাদি বেশি খাওয়া, জন্মবিরতিকরণ ওষুধ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ভ্রমণ, ব্যায়াম ইত্যাদির কারণে এ রোগ হতে পারে।

মাইগ্রেনের লক্ষণ
মাথাব্যথা, বমি ভাব প্রধান লক্ষণ। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা, মনোযোগ বিঘ্নিত হওয়া, বিরক্তি বোধ ইত্যাদি মাথাব্যথা শুরুর আগের উপসর্গ। ব্যথা মাথার যেকোনো অংশ থেকে শুরু হয়ে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পেছনে ব্যথার অনুভূতি হতে পারে। শব্দ ও আলো বিরক্তির ‍উদ্রেক করে। অতিরিক্ত শব্দ ও আলোয় মাথাব্যথা বেড়েও যেতে পারে।

এছাড়া চোখে উজ্জ্বল আলোর অনুভূতি(সরষে ফুল দেখা!), অন্ধকার দেখা, ২০ মিনিট স্থায়ী এসব উপসর্গের পর বমি ভাব এবং মাথাব্যথা শুরু হয়। তবে দৃষ্টির সমস্যা এক ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হলে এটি মাইগ্রেন নয়।

যা করতে হবে
মাইগ্রেন থাকলে নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। কফি, চকলেট, পনির, আইসক্রিম, মদ ইত্যাদি ছাড়তে হবে। বেশি সময় পেট খালি রাখবেন না। এ সমস্যা থাকলে জন্মবিরতিকরণ ওষুধ সেবন বন্ধ করাই ভালো। অতিরিক্তি পরিশ্রম, মানসিক চাপ ও দীর্ঘ ভ্রমণ বর্জন করুন।

তবে জলশূন্যতা, কাজের চাপ, উচ্চ শব্দের মধ্যে কাজ করা, কম ঘুমানোর কারণেও মাথাব্যথা হয়। এটা কিন্তু মাইগ্রেন নয়। তাই মাথাব্যথা হলে প্রচুর জল পান করুন, উচ্চশব্দ এড়িয়ে চলুন, নিয়মিত ঘুমান এবং অতিরিক্ত কাজ না করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গুছিয়ে কাজ করুন- তাহলেই এই সাধারণ মাথাব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য