পোল্ট্রি ফার্ম তৈরির জন্য টাকা দিল সরকার, তা থেকে অর্ধেকের বেশি দিতে হল তৃণমূল নেতাকে
পোল্ট্রি ফার্ম তৈরির জন্য টাকা দিল সরকার, তা থেকে অর্ধেকের বেশি তৃণমূল নেতাকে দিতে হল? অভিযোগ ঘিরে শোরগোল মেদিনীপুরে।
তার জন্য উপভোক্তাদের দেওয়া হচ্ছে সরকারি অর্থ। অভিযোগ, সেই অর্থের একটা বড় অংশ নিয়ে নিচ্ছে শাসক দলের নেতারা। উপভোক্তাকে চাপ দিয়ে টাকা নেওয়ার ঘটনা ঘটছে।
এবার তা নিয়ে শোরগোল পড়লো মেদিনীপুরে। জেলাশাসকের কাছে অভিযোগও জানালেন এক উপভোক্তা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় থানার নয়াপুকুরে। বিলাসী সিং ও বাদল পালের ক্ষেত্রে। বাদল পাল বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কৃষি দপ্তর থেকে ২৮ হাজার টাকা পেয়েছিলেন পোল্ট্রি ফার্ম তৈরির জন্য। সেই টাকা পাওয়ার পরেই স্থানীয় নেতারা চাপ দেয় ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য। অবশেষে তাঁরা বাধ্য হন এক নেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে।
কিন্তু তারপরেই বিপাকে পড়েন বিলাসী সিং ও বাদল পাল। বাকি ১৩ হাজার টাকায় তো পোল্ট্রি ফার্ম করা সম্ভব নয়। পরবর্তীকালে প্রশাসন যখন তদন্তে আসবে তখন তো সমস্যায় পড়তে হবে। তাই বাকি ১৩ হাজার টাকা জেলাশাসককে ফেরত্ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারই সঙ্গে পুরো ঘটনা জানিয়ে অভিযোগও করেন। যদিও বিলাসী সিং ও তাঁর স্বামী বাদল পাল জানান, জেলাশাসক ব্যস্ত থাকায় তাঁরা দেখা করতে পারেননি। ফলে টাকাও ফেরত্ গিতে পারেননি। তবে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
আর ঘটনার কথা জানাজানি হতেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা টাকা ফেরত্ দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত নেতাকে টাকা ফেরত্ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দলীয় ভাবেও পদক্ষেপ করা হবে।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দীপক দে-র অবস্য দাবি, তিনি কোনও টাকা নেন নি। বাদল পাল বাইক বন্ধক রেখে টাকা নিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়। তবে ওই মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরত্ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। সেই টাকা দেওয়া হয়েছে অন্য একজনের অ্যাকাউন্ট থেকে। প্রশ্ন হল, যদি টাকা নাই নিয়ে থাকেন তাহলে ফেরত্ দেওয়ার বিষয়টি এলো কেন? এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।
এব্যাপারে নারায়ণগড় ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা জেলা কমিটির সহ সভাপতি মিহির চন্দ্র বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে দীপককে বলা হয়েছিল, যদি সে টাকা নিয়ে থাকে তাহলে যেন ফেরত্ দিয়ে দেয়। শুনেছি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ওকে দলের পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, আমার কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন খুবই ভালো। নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।