পশ্চিম মেদিনীপুর

কাটমানির ‘শিকার’ দেবের ভাই!

কাটমানির 'শিকার' দেবের ভাই!

অভিনেতা-সাংসদ দেবের তুতো ভাইয়ের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। তাঁকে সামনে রেখে ‘সেটেলমেন্ট’ করছে তৃণমূল নেতারা বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকী সমস্যা মেটানোর নামে সালিশি সভায় ডেকে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন দেবের ভাই বিক্রম অধিকারী। আবাস যোজনার বাড়ি দুর্নীতি নিয়েও বিস্ফোরক তিনি।

এদিকে এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিড়ম্বনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি। টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা তিনি। আবার তৃণমূলের টিকিটে জেতা জনপ্রতিনিধিও। তিনি দীপক অধিকারী ওরফে দেব। এখন দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসন তাঁর ঠিকানা হলেও আসলে তিনি কেশপুরের মহিষদা গ্রামের ছেলে। সে গ্রামে এখনও রয়েছেন দেবের জ্যেঠুর পরিবার। এক জ্যেঠুরই ছেলে বিক্রম অধিকারী।

যিনি টিভি নাইন বাংলার মুখোমুখি হয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন দলেরই স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। বিক্রমের অভিযোগ, আবাস যোজনার বাড়ি পেতে তাঁকেও কাটমানি দিতে হয়। বিক্রমের দাবি, ২০১৬ সালে সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়ার যোগ্য হয়েও সেই আবাসের টাকা তুলে দিতে হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের হাতে। এর ফলে সেই সময় আর তাঁর বাড়ি করা হয়ে ওঠেনি।

এ নিয়ে পড়ে তিনি এক মন্ত্রী, এমনকী প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। তবে তারপরও মেলেনি সুরাহা। একবার আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকার ফলে পরবর্তীকালে আর ঘরও পাননি। তাই এখনও ভগ্নপ্রায় জরাজীর্ণ বাড়িতেই পরিবারকে নিয়ে দিন যাপন করতে হচ্ছে বিক্রম অধিকারীকে।

শুধু তাই নয়, বিক্রম অধিকারীর অভিযোগ, তিনি যেহেতু দেবের ভাই, সেই সুযোগকে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাঁর ঘাড়ে বন্দুক রেখে ‘শিকার’ ধরা হচ্ছে। বিক্রম অধিকারী বলেন, এলাকায় সমস্যা সমাধানের নামে বিভিন্ন সালিশি সভায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সামনে বসিয়ে রেখে দেবের ভাই পরিচয় দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিভিন্ন বিবাদের ‘সেটেলমেন্ট’ করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।

তবে একইসঙ্গে বিক্রম অধিকারীর দাবি, এই অভিযোগের বিন্দুবিসর্গ দেবের কানে যায়নি। কেশপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যোত্‍ পাঁজাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, গোটা বিষয় খতিয়ে দেখার কথা বলেন তিনি। আশ্বাস দেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থাও নেবেন।

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, নির্দিষ্ট প্রমাণ দিয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ করুক থানায়। প্রশাসনকে বলব অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে ব্যবস্থা নিতে। পাশাপাশি স্থানীয় স্তরে যে ‘সেটেলমেন্ট’-এর অভিযোগ করেছেন বিক্রম অধিকারী, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে শিউলি সাহা বলেন, “দল কোনও অন্যায়কে সমর্থন করে না।” তবে একইসঙ্গে বিধায়ক শিউলি সাহার পাল্টা হুঁশিয়ারি, যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণিত না হয় তাহলে কিন্তু তার জন্য শাস্তি পেতে হবে।

সুত্র: টিভি-৯

আরও পড়ুন ::

Back to top button