দঃ ২৪ পরগনা

বাসন্তীতে জরির কারখানার আড়ালে অস্ত্র কারখানার হদিস, গ্রেপ্তার দুই

বাসন্তীতে জরির কারখানার আড়ালে অস্ত্র কারখানার হদিস, গ্রেপ্তার দুই

কাপড়ে জরির কাজের কারখানার আড়ালে গোপনে চলত আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কাজ। গ্রামের কয়েকশো মহিলা প্রতিদিন জরির কাজ করতে আসত। এক চিলতে ঘরের ছাউনি, তার মধ্যেই চলতো নীরবে অস্ত্র তৈরির কাজ। বারুইপুর পুলিশ গোপনে খবর পেয়ে হানা দেয় ওই বাড়িতে ।

এরপর মেলে প্রচুর পরিমানে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও আগ্নেয়াস্ত্র। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এটা একরকম বড়সড় সাফল্য বলে মনে করছে জেলা পুলিশ।

কিছুদিন আগেই ক্যানিং থানা এলাকায় বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছিল। এছাড়াও বারুইপুর পুলিশ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটছিল প্রায় প্রতিদিন। এরই মধ্যে গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ বাসন্তীর রামচন্দ্রখালি পঞ্চায়েতের ছোট কলাহাজরা গ্রামের তেঁতুলতলা গ্রামে অভিযান চালায় । সেখানে মোতালেফ পুরকাইত ওরফে হাঁসার বাড়িতে হদিশ মেলে বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানা।

ওই বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রচুর অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় বাড়ির মালিক মোতালেফ ও তার সাগরেদ জয়নাল মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি শ্রীমতি পুষ্পা জানান, ধৃতদের সঙ্গে বিহারের মুঙ্গেরের যোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়।

২০১৭ সালে রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধারের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল এই মোতালেফ ওরফে হাঁসা। সে সময় গা ঢাকা দিয়েছিল সে । পরে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে মোতালেফের কলাহাজরা গ্রামের এই বাড়িতেই অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলে। সেই সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। হাঁসা সহ সেবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল মজিদ আলি সরদার, মোরসালিম মোড়ল, শওকত সর্দার এবং আব্দুল কালাম পিয়াদা নামের আরও চার দুষ্কৃতী।

আবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তার বাড়িতে মিলল বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় বিপুল পরিমাণের অস্ত্রভাণ্ডার তৈরির প্রকৃত কারণ কি তার তদন্ত করছে বারাইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button