বর্ধমান

পারিবারিক বিবাদের জেরে খুনের ঘটনায় ৮ জনকে যাবত্‍জ্জীবন কারাদণ্ড দিল কাটোয়া আদালত

পারিবারিক বিবাদের জেরে খুনের ঘটনায় ৮ জনকে যাবত্‍জ্জীবন কারাদণ্ড দিল কাটোয়া আদালত

পারিবারিক বিবাদের জেরে খুনের ঘটনায় ৮ জনকে যাবত্‍জ্জীবন কারাদণ্ড দিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা আদালত । সাজাপ্রাপ্তের নাম নিখিল ঘোষ, মথুরা ঘোষ, গৌতম ঘোষ, বিফল ঘোষ, রহিত ঘোষ, মঙ্গল ঘোষ, চঞ্চল ঘোষ এবং জহর ঘোষ ।

তাদের মধ্যে প্রথম চারজনের বাড়ি কেতুগ্রাম থানার সীতাহাটি গ্রামে। বাকিদের বাড়ি কেতুগ্রামের কল্যানপুর । কাটোয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সুকুমার সূত্রধর এই সাজা শোনান । এই মামলায় স্বাক্ষী ছিল মোট ১১ জন । ২০১৬ সালের পয়লা জুন আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে,নিহত ব্যক্তির নাম সুবীর ঘোষ । তার বাড়ি কেতুগ্রাম থানার বিষ্ণুপুর গ্রামে । খুনের ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালে ২৪ মার্চ । ঘটনার পরের দিন কেতুগ্রাম থানায় দায়ের করা এফ আই আরে নিহতের স্ত্রী তনুশ্রী ঘোষ জানিয়েছিলেন, ওই দিন সন্ধ্যায় তার স্বামী গ্রামের শিবমন্দিরে গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজব করার জন্য । তার প্রায় আধঘণ্টা পর তিনি মেয়েকে টিউশন থেকে আনতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন । কিন্তু তিনি শিবমন্দিরের পাশে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তার স্বামীর আর্ত চিত্‍কার শুনতে পান ।

তখন তিনি কাছে গিয়ে দেখেন ও আটজন মিলে তার স্বামীকে ঘিরে ধরে রামদা, বল্লম প্রভৃতি ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাচ্ছে । তার দেবর সুজিত ঘোষ দাদাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কোপানো হয় । পরে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে দু’জনকে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু তার দেবর প্রাণে বেঁচে গেলেও মৃত্যু হয় তার স্বামীর ।

স্থানীয় সূত্রে খবর,সুবীর ঘোষ ও সাজাপ্রাপ্ত বিফল ঘোষের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ চলছিল ।সুবীর ঘোষ খুনের বছরখানেক আগে খুন হয় বিফলের দাদা কৃত্তিবাস ঘোষ । তারই প্রতিশোধ নিতে সুবীর ঘোষকে খুন করা হয় বলে জানা গেছে । যদিও কৃত্তিবাস ঘোষের খুনের মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে । তার আগেই সুবীর ঘোষ খুনের মামলার নিষ্পত্তি করল আদালত ।

সুবীর ঘোষ খুনের মামলায় দোষী সব্যস্ত ওই ৮ জনকে যাবত্‍জ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা,অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত । সেই সঙ্গে খুনের চেষ্টার দায়ে আরও ১০ বছর সাজার পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button