মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সীতাভোগ নিয়ে বর্ধমান স্টেশনে তৃণমৃল বিধায়ক খোকন দাস
হাওড়া থেকে মালদহ যাচ্ছিলেন। পথে আপ সরাইঘাট এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়াতেই ট্রেনের দরজার সামনে এসে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । দরজার সামনে তখন দলের নেতা কর্মীদের থিকথিকে ভিড়। তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য তখন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। হাতে রয়েছে সীতাভোগ-মিহিদানার প্যাকেট আর ফুল । কিন্তু নিরাপত্তার কারণে কিছুই আর তুলে দেওয়া হয়নি দিদির হাতে।
এদিন বর্ধমান স্টেশনে হাজির ছিলেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা ও পুলিস সুপার কামনাশিস সেনও। নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুক্ষণ পরে সরাইঘাট এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশনে ঢোকে। ৫ টা ২৭ মিনিটে ঢুকে ৫ টা ৩২ মিনিট নাগাদ ছেড়ে যায়। ওই মিনিট পাঁচেক সময়ই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্টেশন চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মী সমর্থকেরা মোবাইলে ছবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রীর। ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়েই দলীয় কর্মী সমর্থক ও নেতানেত্রীদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই একসঙ্গে কাজ করুন। উন্নয়নের কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে চলুন।’
দিদির জন্য সীতাভোগ-মিহিদানা নিয়ে গিয়েও তাঁর হাতে তুলে দিতে পারেননি। তাই একটু কষ্ট পেয়েছিলেন বিধায়ক খোকন দাস। পরে অবশ্য দলের কর্মীদের সঙ্গেই ভাগ-যোগ করে খাওয়া হয়ে যায় সব। তিনি বলেন, ‘সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জেলাশাসক ও পুলিশসুপারকে জিজ্ঞেস করেন সব ঠিক চলছে কি না। আমরাও খুব খুশি হলাম দিদিকে কাছে পেয়ে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ট্রেন স্টেশনে ঢোকার আগে থেকেই ব্যাপক পুলিসি সুরক্ষার ব্যাবস্থা করা হয়। স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে সরাইঘাট এক্সপ্রেস থামলেও ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মও কার্যত ফাঁকা করে দেয় পুলিস। পুলিসে পুলিসে ছেয়ে যায় গোটা স্টেশন চত্বর।