একবার নয় দুই দুইবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা মামলা থেকে সরে গেলেন বিচারপতি। বিচারপতি পার্থসারথি সেনের পর এবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। দুটি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিল রাজ্য কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রেখে পুনরায় মামলা দুটি কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠায়। পাশাপাশি দেশের সর্বোচ্চ আদালত কলকাতা হাইকোর্টকে মামলা দুটির দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়। আর এরপরেই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আবেদন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিচারপতি মান্থা জানিয়েছেন, রাজ্যকে দেখে মনে হচ্ছে মামলাকারী যেন ইচ্ছে করে শুনানি পিছিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আদতে কোন পক্ষই দ্রুত শুনানিতে আগ্রহী নয়।
মামলা পুনরায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে ওনার এজলাসে ফিরে আসলে মামলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিচারপতি মান্থা জানিয়েছেন, “হাইকোর্টে আরও ৫৩ জন বিচারপতি থাকা সত্ত্বেও কেন বারবার তার এজলাসেই মামলা ফেরত আসছে। তার এজলাসে দীর্ঘ শুনানির সময় নেই”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে একই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিচারপতি পার্থসারথি সেন । তিনি এই দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মামলা দুটিকে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে পাঠিয়ে দেন।
সে সময় কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা ২৬ টি এফআইআর(FIR) এর উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ এর আদেশ দেয় এবং আদালতের অনুমতি ছাড়া ওনার বিরুদ্ধে আর কোন এফ.আই.আর করা যাবেনা বলে মন্তব্য করেন।
এরপরই রাজ্য সরকার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে আর্জি জানালে, বিচারপতি পূর্বের রায়কেই বহাল রাখেন এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা পুলিশের ২৬ টি এফ.আই.আর গুলির উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলতে অস্বীকার করেন।
এরপর মামলাটির প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় রাজ্য দেশের সর্বোচ্চ আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, যদি প্রয়োজন মনে করে তবেই সুপ্রিম কোর্ট এই মামলাগুলিতে হস্তক্ষেপ করবে অন্যথায় মামলা দুটিতে যদি কোন রদবদল করতে হয় তাহলে রাজ্যকে প্রথমে হাইকোর্টে আবেদন করতে হবে।