Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
রাজ্য

বাংলার ৬২ জনের মৃত্যু , শনাক্তকরণ হয়নি ১৮২ জনের – উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

বাংলার ৬২ জনের মৃত্যু , শনাক্তকরণ হয়নি ১৮২ জনের - উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”বালেশ্বরে দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বাংলার ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৮২ জনকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি।”

পাশাপাশি প্রশ্ন তোলেন রেলের ভূমিকা নিয়েও। ‘আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অ্যান্টি কলিসন ডিভাইস লাগাই। অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের কোনও কৃতিত্ব নেই দেশের বর্তমান সরকারের। রেল যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য কিছুই করেনি কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) । আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম তার আগে লেভেল ক্রসিংয়ে ম্যান ছিল না। আমরা ম্যানের ব্যবস্থা করি।

আমরা অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস সিস্টেম করার পর থেকে দুর্ঘটনা কমে। রেলের জন্য এখন কিছু করা হচ্ছে না। কুছ কালা হ্যায়। মৃতের সংখ্যা আমাদের কাছে বাড়ছে। ওদের কমছে।’ চিকিৎসায় গাফিলতি থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ- সব কিছু নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Koromondol Express) দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, লুপ লাইনে ঢোকার সময় ট্রেনের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন লুপ লাইনে ঢুকলে গতিবেগ থাকার কথা ১৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। একই সঙ্গে বিশেষ রুট সঙ্কেত জ্বলার কথা।

কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি বলে খবর। রেল সূত্রে খবর, প্রচণ্ড গতিতে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েই দুর্ঘটনার শিকার হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Koromondol Expeess)। ২৩ সেকেন্ডের মধ্যে ২৪ কোচের করমণ্ডলের গতিবেগ শূন্য হয়ে যায়। সংঘর্ষের অভিঘাতে ২১ টি কামরা মুহূর্তের মধ্যে লাইন থেকে ছিটকে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা প্রশ্ন তুলছেন, কেন ভিনরাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হয়? কিন্তু এখন তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হল, যাঁরা কাজে যাচ্ছিলেন, যাঁরা চিকিৎসার জন্য ট্রেনে উঠেছিলেন তার কী হবে। বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, বহু শ্রমিক গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন বিভিন্ন হাসপাতালে। কেউ হয়তো ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে কাজ হারানোর বিরাট আশঙ্কাও গ্রাস করছে।

রবিবার সকালে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং-এ পরিবর্তনের কারণেই এই দুর্ঘটনা। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা আজ ট্র্যাকটি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করব। সমস্ত মৃতদেহ সরানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য বুধবার সকালের মধ্যে পুনরুদ্ধারের কাজ শেষ করা যাতে ট্রেনগুলি চলতে শুরু করতে পারে। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার শীঘ্রই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button