রাজ্য

রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে নিজেকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা – জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে অভিযোগ ইডির

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Jyotipriya Mallick : রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে নিজেকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা – জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে অভিযোগ ইডির - West Bengal News 24

রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে নিজেকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা – জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে অভিযোগ ইডির। তাঁদের যুক্তি, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার জন্য তিনটি সংস্থা খোলা হলেও কোনওটাতেই নিজে ডিরেক্টর ছিলেন না মন্ত্রী। তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, ওই তিনটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে নাম পাওয়া গিয়েছে মন্ত্রীর স্ত্রী ও কন্যার।

ওই সংস্থা গুলির পরিচালন বোর্ডে রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুর রহমান এবং মন্ত্রীর এক সহায়ক অভিজিৎ দাসের পরিবারের সদস্যদেরও নাম থাকলেও কোথাও মন্ত্রী নেই বলে দাবি তদন্তকারীদের।

ইডির দাবি, কালো টাকার একটি বড় অংশ বাকিবুরের মালিকানাধীন ‘এনপিজি গ্রুপ অব কোম্পানি’-র নামে থাকা হোটেল পানশালায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। ইডি কর্তাদের কথায়, ‘‘সেখানেও কোথাও কাগজে-কলমে মন্ত্রীর নাম নেই।’’

আদালতে জমা দেওয়া ইডির নথি অনুযায়ী, ওই সংস্থা গুলির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা হওয়ার পরে মন্ত্রীর স্ত্রী ও কন্যা পদত্যাগ করেন। আদালতে জমা দেওয়া নথিতে ইডির আরও দাবি, বাকিবুরের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটে ‘এমআইসি’ অর্থাৎ ‘মিনিস্টার ইন-চার্জ’ জ্যোতিপ্রিয়কে একাধিক বার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে।

তদন্তকারীদের দাবি, অভিজিতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মেরুন ডায়েরিতে জ্যোতিপ্রিয়কে কত টাকা দেওয়া হয়েছিল, তা নথিভুক্ত রয়েছে। যশোহর রোডের ভগবতী কলোনির একটি ফ্ল্যাটে ছিল ওই সংস্থার অফিস।

ইডির দাবি, ওই ফ্ল্যাটের মালিকানায় নাম রয়েছে মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক অমিত দে-র। ইডির দাবি অনুযায়ী, বাকিবুরের বয়ান ও তাঁর মোবাইলের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের সূত্রেই রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয়র নাম উঠে আসে। পাশাপাশি মন্ত্রীর দুই আপ্ত সহায়কের বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button