ঝাড়গ্রাম

প্রচারে গিয়ে দলীয় পর্যবেক্ষক অজিত মাহাতোকে পাশে নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি, কংসাবতীর উপর সেতু হবে

স্বপ্নীল মজুমদার

প্রচারে গিয়ে দলীয় পর্যবেক্ষক অজিত মাহাতোকে পাশে নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি, কংসাবতীর উপর সেতু হবে

বিজেপির বিদায়ী সাংসদ প্রতিশ্রুতি দিলেও হয়নি দুই জেলার সংযোগকারী সেতু।

ঝাড়গ্রাম ব্লকের চুবকা অঞ্চলের আমদই ঘাট এবং মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতীর ঘাটের মাঝ বরাবর বয়ে যাওয়া কংসাবতী নদীর উপর কংক্রিটের সেতু তৈরির দাবিটি দীর্ঘদিনের। বছরের পর বছর বাঁশের ফেয়ার ওয়েদার সাঁকো পেরিয়ে যাতায়াত করেন দুই প্রান্তের কয়েক হাজার মানুষ। বর্ষায় ভরসা নৌকো।

বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেন চুবকা এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে সমস্যার কথা জানান। প্রচারে এসে এই এলাকার মানুষজনের দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেন তৃণমূলের প্রার্থী কালীপদ সরেন।

ঝাড়গ্রাম ব্লকের চুবকা, সরডিহা, মানিকপাড়া এবং পার্শ্ববর্তী খড়াপুর গ্রামীণের কিছু এলাকার মানুষজন নিকটবর্তী মেদিনীপুর শহরের উপর নির্ভরশীল। চুবকা এলাকাটি ঝাড়গ্রাম জেলায় হলেও মাত্র ১২ কিমি দূরে মেদিনীপুর শহর। স্কুল, কলেজ, চিকিৎসা, ব্যবসা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে চুবকার বাসিন্দারা মেদিনীপুরের উপর নির্ভরশীল।

বর্ষাকালে বাঁশের সাঁকো ভেসে গেলে ভরসা নৌকো অথবা ৩২ কিমি ঘুরপথে মেদিনীপুর যেতে হয়। সমস্যার কথা জেনে তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেন জানান, তিনি সাংসদ হলে স্থায়ী সেতুর বাস্তবায়ন করবেন। কালিপদর সঙ্গে প্রচারে ছিলেন গোপীবল্লভপুর বিধানসভার দলীয় পর্যবেক্ষক তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাহাতো।

অজিত বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়ন দিয়ে জঙ্গলমহলকে ভরিয়ে দিয়েছেন। লালগড়ে কংসাবতী নদীর উপর শহিদ রঘুনাথ মাহাতো সেতু হওয়ায় ঝাড়গ্রাম ও লালগড়ের মধ্যে যোগাযোগ সহজ হয়েছে। নয়াগ্রামে সুবর্ণরেখার উপর জঙ্গলকন্যা সেতু হওয়ার ফলে ওড়িশা লাগোয়া নয়াগ্রামের সঙ্গে খড়গপুর ও মেদিনীপুরের দূরত্ব অনেক কমেছে। চুবকাতেও সেতু হবে। উন্নয়নের কান্ডারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই সমস্যা বুঝে পদক্ষেপ করবেন।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button