রাজনীতিরাজ্য

লকেটকে প্রত্যাখ্যান, হুগলিতে নম্বর ওয়ান মমতার রচনাই

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

লকেটকে প্রত্যাখ্যান, হুগলিতে নম্বর ওয়ান মমতার রচনাই

সকালেই বলেছিলেন, ‘তৃণমূল আসছে-তৃণমূলই আসবে।’ আর বেলা যত গড়াল, ততই স্পষ্ট হল তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী। তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের তালিকায় চলে এল তাঁর নামও। হুগলিতে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে নির্বাচনী লড়াইতে নেমে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারালেন পর্দার ‘দিদি নং ১’।

এদিন সকালে রচনা বলেছিলেন, ‘জয় নিয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী। এতদিন পরিশ্রম করেছি। মনের মধ্যে আশা তো আছেই। এটা মানুষের পাশে থাকার যুদ্ধ। আমরা আশাবাদী তৃণমূল আসছে, তৃণমূলই আসবে।’ তারপর থেকে সময় যত এগিয়েছে ততই ব্যবধান বাড়িয়ে গিয়েছেন রচনা। প্রত্যেক রাউন্ডের শেষে প্রধান প্রতিপক্ষ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ক্রমশই পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।

ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় হুগলির প্রার্থী হিসেবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণার পর থেকেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল এই কেন্দ্রকে নিয়ে। রচনার প্রচার পর্বেও মানুষের ব্যাপক সাড়া দেখা গিয়েছিল। প্রচারের সময় রচনার বিভিন্ন মন্তব্যকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা হলেও, তাঁর চারিত্রিক সারল্য হুগলির বড় অংশের মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। এছাড়া টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ হওয়ায়, তিনি বাড়তি অ্যাডভান্টেডও পেয়েছেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ। পাশাপাশি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আরও মনে করছেন, রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প এই ফলাফলের ক্ষেত্রে বিশেষ ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। সঙ্গে মুসলিম ভোটেরও বড় সমর্থন পেয়েছেন রচনা। সঙ্গে বাম ভোটের একটা অংশও এবারের নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন দিয়েছে বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের।

এদিন ফলাফল দেখে রচনা বলেন, ‘মানুষ সব জানে কার পাশে থাকতে হবে। মানুষ এখন বুদ্ধিমান। আমি বারবার একই কথা বলে এসেছি, মানুষ বিচার করবে।’ আগামীদিনে কী ভাবে কাজ করবেন, সেই নিয়েও এদিন ইঙ্গিত দেন রচনা। তিনি বলেন, ‘অনেক কিছু করার আছে। আগে কাজটা বুঝতে হবে। মানুষের যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা নিয়ে আগে এগোব।’ প্রচারের সময় রচনার ‘ধোঁয়া ধোঁয়া’ মন্তব্য নিয়েও যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিন সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রচনা বলেন, ‘এখন সবাই চোখে ধোঁয়া দেখবে।’ একইসঙ্গে রচনা আরও বলেন, ‘দিদি নং ১ একজনই, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি এখন হুগলির নং ১।’ অন্যদিকে ভোটের পর কোনওরকম হিংসা নয়, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদনই জানান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button