জীবন যাত্রা

সেই সাত বিষয় যা জীবনসঙ্গীকে অবশ্যই বলবেন

সেই সাত বিষয় যা জীবনসঙ্গীকে অবশ্যই বলবেন

একটি সম্পর্ককে সফলভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সংলাপ খুবই জরুরি। এমন অনেক বিষয় আছে, যা হয়তো প্রিয় মানুষটিকে বর্তমান মুহূর্তে বলাটা একটু অস্বস্তিকর। কিন্তু তার পরও সম্পর্কের সুন্দর একটি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভেতরে চেপে না রেখে অকপটে তা বলে ফেলাই উচিত। সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন সাতটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যা জীবনসঙ্গীকে বলে ফেলা উচিত।

প্রত্যাশার কথা
জীবনসঙ্গীর কাছে আপনার প্রত্যাশার কথা জানাতে কখনোই ভুলবেন না। শুরুতেই প্রিয় মানুষটিকে সম্পর্কের গতিপথ সম্পর্কে স্পষ্ট একটি ধারণা দিয়ে দিন। তাঁর কাছে আপনার চাওয়া-পাওয়ার কথা অকপটে খুলে বলুন। আপনার ভবিষ্যত্ সুরক্ষিত করার জন্য পছন্দের মানুষটির করণীয় সম্পর্কে তাঁকে স্পষ্ট ধারণা দিন। সম্পর্কের শুরুতেই চাওয়া-পাওয়ার হিসাব কষতে একটু অস্বস্তি হতেই পারে। তার পরও এমনটা করতে পারলে আপনার প্রত্যাশা পূরণে আপনার জীবনসঙ্গীর মনোভাব ধরতে পারবেন আপনি।

পছন্দ, অপছন্দ এবং অন্যান্য…
নিজের পছন্দ-অপছন্দের কথা খুলে বলতে হবে জীবনসঙ্গীকে। আপনি কী খেতে ভালোবাসেন কিংবা কী করতে সবচেয়ে ভালো লাগে—ছোট-খাটো এমন সবকিছুই জানিয়ে দিন প্রিয় মানুষটিকে। অতীতে অন্য কারও সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে থাকলে কখনোই তা বর্তমান জীবনসঙ্গীর কাছে লুকানো উচিত নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ভবিষ্যতে অশান্তির ঢেউ উঠতে পারে আপনার সাজানো সংসারে।

জেনে নিন সুখী জীবন যাপনের অজানা মূলমন্ত্র!

একাকিত্ব চাই!
প্রতিটি মানুষেরই নিজের মতো করে একাকী কিছু সময় কাটানোর ইচ্ছা জাগতেই পারে। সঙ্গী কষ্ট পাবেন ভেবে কখনোই মনের এ ইচ্ছার গলা টিপে ধরবেন না। আপনার সঙ্গীকে বুঝিয়ে বলুন কিছু সময় একাকী কাটাতে চান আপনি।

নতুন ভালোবাসা
হয়তো চার বছর ধরে কারও সঙ্গে প্রেমের তরি বাইছেন আপনি। কিন্তু হঠাত্ করেই সবকিছু এলোমেলো করে দিয়ে নতুন এমন কাউকে খুঁজে পেলেন যাকেই আপনি আজীবন খুঁজছিলেন। এমন অবস্থায় দুই নৌকায় পা রেখে চলার কৌশল অবলম্বন করলে অবশ্যই আপনাকে পস্তাতে হবে। বর্তমান জীবনসঙ্গীর মন ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা থেকে নতুন খুঁজে পাওয়া মানুষটির বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রাখবেন না। এতে করে কেবল নিজের সঙ্গেই নয়, প্রিয় মানুষটির সঙ্গেও প্রতারণা করা হবে।

যৌনতা
শরীর-মন সাঁয় না দিলে সঙ্গীকে নির্দ্বিধায় তা বলে ফেলুন। এ ক্ষেত্রে ‘না’ বলার মধ্যে দোষের কিছু নেই। মনে রাখবেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কিছু করতেই আপনি বাধ্য নন।

দাম্পত্য সুখের গোপন রহস্য

খরচাপাতি
কথায় বলে, শখের তোলার দাম নাকি লাখ টাকা। হঠাত্ করেই হয়তো আপনার হাতে অনেক টাকা এসে গেল। প্রচুর অর্থ ব্যয় করে শখের একটি জিনিস কিংবা সম্পদ কিনে ফেললেন আপনি। কিন্তু কেনার পরই মনে হলো, সঙ্গীকে বিষয়টি জানালে সে খেপে যেতে পারে। এজন্য বিষয়টি বেমালুম চেপে গেলেন আপনি। ভুলেও এমনটা করবেন না। এতে করে ভবিষ্যতে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে বিশাল দূরত্ব তৈরি হয়ে যেতে পারে, যার পরিণতি মোটেও সুখকর হবে না। এ ধরনের লুকোচুরি কখনোই সুফল বয়ে আনে না।

অস্থিরতা
নিজের ভেতর কখনোই অস্থিরতা পুষে রাখবেন না। হয়তো আপনার জীবনসঙ্গীর খালা কিংবা চাচি আপনার পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বাজে মন্তব্য করল। কিংবা সঙ্গীর ভাইয়ের প্রেমিকা আপনাকে বিরক্তিকর বলে রায় দিল। সঙ্গীর পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুবান্ধবদের কোনো মন্তব্য বা আচরণে আপনার মনে অস্থিরতা দেখা দিলে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন সঙ্গীর সঙ্গে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির পরামর্শও আপনি চাইতে পারেন প্রিয় মানুষটির কাছে।

নারী আসলে কী চায়, জানালেন পুরুষ যৌনকর্মী

আরও পড়ুন ::

Back to top button