জীবন যাত্রা

যে ১০টি “সাধারণ” ভুলেই চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে পারেন আপনি!

যে ১০টি "সাধারণ" ভুলেই চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে পারেন আপনি!

আপনার কাছে মনে হতে পারে ভুলগুলো খুব তুচ্ছ, খুব সাধারণ। কিন্তু জানেন তো, বিন্দু বিন্দু করেই সিন্ধু। আর তাই এমন কিছু বিন্দু বিন্দু ভুল আছে যেগুলো নিশ্চিত ভাবেই আপনাকে ঠেলে নিয়ে যায় চাকরিটা হারানোর দিকে। সবচাইতে বড় ব্যাপার হলো, নিজের অজান্তেই কিন্তু এসব ভুল করে ফেলেন আপনি আর তাই সচেতন হওয়াটাও জরুরী মনে করেন না। আসুন, জানি সেই সাধারণ কিন্তু মারাত্মক ভুলগুলো সম্পর্কে।

১। দেরি করে কাজে আসা
রাতে ঘুমাতে দেরি হওয়ায় অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। যে কারণে তাদের অফিসে পৌঁছাতে দেরি হয়। এক দুই দিন দেরি করলে প্রতিষ্ঠান হয়তো এটাকে স্বাভাবিকভাবে বিবেচনা করবে। কিন্তু যদি আপনি প্রত্যেকদিন ধারাবাহিকভাবে অফিসে দেরি করে আসেন তবে প্রতিষ্ঠান অবধারিতভাবে আপনাকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করবে।

২। চা পান
সকালে ঘুম থেকে উঠে চা পান করা খুবই ভালো একটি অভ্যাস। কিন্তু যদি চা পান করতে গিয়ে অফিসে ঢোকার সময়কে অতিক্রম করে ফেলেন তবে তা আপনার জন্য বিপদ ডেকে আনবে। অথবা যদি দেরি করে অফিসে এসে আপনার ডেস্কে বসে চা পান করতে শুরু করেন তাও আপনার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

সফলতা চাইলে ৫টি নেতিবাচক চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন এখনই!

৩। ডেস্কে বসেই খাওয়া দাওয়া করা
চা, কফি কিংবা দুপুরের খাবার যাই হোক না কেন ডেস্কে বসে খাওয়াটা অনুচিত। প্রথমত, এটা আপনার সহকর্মীদেরকে বিব্রত করতে পারে। দ্বিতীয়ত, একজন পেশাদার হিসেবে এ ধরনের কাজ করা আপনার জন্য খুবই অ-পেশাদারিত্বের পরিচয় হবে। এ বিষয়গুলো প্রতিষ্ঠান খুবই কঠোরভাবে দেখে, যার কারণে আপনার চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৪। দীর্ঘ সময় নিয়ে লাঞ্চ করা
অনেকে আছেন যারা এক ঘন্টা সময় নিয়ে লাঞ্চ করেন। এতটা সময় নিয়ে লাঞ্চ করলে প্রতিষ্ঠান ধরে নেবে আপনি প্রতিষ্ঠানকে যথেষ্ট সময় দিচ্ছেন না কিংবা আপনি আপনার কাজের প্রতি সিরিয়াস নন। দীর্ঘ সময় নিয়ে লাঞ্চ করলে প্রতিষ্ঠান যে কোন সময় আপনাকে চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দিতে পারে। সুতরাং আপনার যদি এমন অভ্যাস থেকে থাকে তবে শীঘ্রই তা পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন।

৫। অফিসে বসে মোবাইলে কথা বলা
আপনি যদি আপনার ডেস্কে বসে মোবাইলে কথা বলেন তবে তা আপনার অফিসের অন্যান্য সহকর্মীদের কাছে বিরক্তিকর হবে। এমন কাজ করা যেকোন চাকরিজীবীর জন্য অনুচিত কাজ হবে। অফিসে বসে মোবাইলে কথা বলার শাস্তিস্বরূপ যেকোন সময় আপনার চাকরি চলে যেতে পারে। সুতরাং এ বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়।

যে ৭টি উপায়ে জীবনে আপনি পেতে পারবেন যে কোনো কিছু!

৬। চ্যাটিং ও ব্যাক্তিগত ইমেইল পাঠানো
৮ অথবা ৯ ঘন্টা অফিস টাইমের মধ্যে আপনি যদি ২/৩ ঘন্টা সময় যদি চ্যাটিং বা ব্যাক্তিগত ইমেইল পাঠানোর পিছনে ব্যয় করেন তবে এর ফলে আপনার চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এর ফলে প্রতিষ্ঠান আপনার কাছ থেকে আশানুরূপ ফল পাবে না। সুতরাং, এ বিষয়ে আপনাকে খুব সচেতন হতে হবে।

৭। অফিসে বসে ডাউনলোড করা
অনেকে আছেন যারা অফিসে বসেই প্রয়োজনীয় ফাইল ডাউনলোড করে থাকেন। মাঝে মাঝে এমনটা করা দোষের নয়, কিন্তু আপনি যদি প্রত্যেকদিন অফিসে বসে সময় অপচয় করে বিভিন্ন ফাইল ডাউনলোড দেন তবে তা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের কাছে দৃষ্টিকটু হতে পারে। এ কারণেও আপনার চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং, এ বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।

৮। কাস্টমার কিংবা ক্লায়েন্টকে বিরক্ত করা
কাস্টমার কিংবা ক্লায়েন্টকে বিরক্ত করার বিভিন্ন মাধ্যম আছে। আপনি যদি আপনার সহকর্মীর সাথে কথা বলার সময় ক্লায়েন্টকে উপেক্ষা করে যান তবে তা আপনার ক্লায়েন্টকে বিরক্ত করতে পারে। এছাড়াও আপনি যদি ঠিকঠাক মত আপনার কাস্টমারের প্রশ্নের উত্তর না দেন তবে তাও আপনার কাস্টমারকে বিরক্ত করতে পারে। কাস্টমার বিরক্ত হলে প্রতিষ্ঠানও আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট হবে। সুতরাং এ কারণেও আপনার চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অফিসে দেরি হলে কাজে মনযোগ কমে, বলছে গবেষণা

৯। নিজের কাজের বাইরে অন্য কাজ না করা
একটি প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিক থাকে। সব কর্মীদেরকে মাঝে মাঝে সব ধরণের দায়িত্ব নিতে হয়। যদি এরকম হয় প্রতিষ্ঠানের মারাত্মক কোন বিপদে আপনি আপনার কাজ না বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকেন তবে প্রতিষ্ঠান এটাকে ভালোভাবে নিবে না। এ কারণে আপনার চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

১০। তাড়াতাড়ি কাজ থেকে চলে যাওয়া
প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট নিয়ম না মেনে আপনি যদি সময় হওয়ার আগেই অফিস থেকে চলে যান তবে প্রতিষ্ঠান ধরে নিবে আপনি প্রতিষ্ঠানের সময়সূচির প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে রাজি নয়। এক্ষেত্রেও আপনার চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং, আপনার উচিত হবে সাবধানতা অবলম্বন করা।

নিজেকে আরও বেশি কর্মক্ষম করে তোলার ছোট্ট ৯ টি স্মার্ট অভ্যাস

আরও পড়ুন ::

Back to top button