জানা-অজানা

অনলাইন কেনাকাটায় সতর্ক থাকবেন যে ৬ টি বিষয়ে

অনলাইন কেনাকাটায় সতর্ক থাকবেন যে ৬ টি বিষয়ে

স্মার্ট ফোনের যুগে ফেসবুকে অনলাইন শপিং এখন খুবই জনপ্রিয়। তার সাথে আছে 3G ইন্টারনেট যা আরো দ্রুত আমাদের পৌছে দেয় বিভিন্ন পেজের লোভনীয় পণ্যগুলোর কাছে। হরহামেশাই মডেলের গায়ে পরা পোশাক বা চমৎকার বর্ণনা দেয়া রেপ্লিকা ঘড়িটি এমন ভাল লেগে যায় যে না কিনলেই নয়। পছন্দের পণ্য তো কিনবেন। কিন্ত সাথে থাকা চাই কিছু সতর্কতা। মাত্র ৫ টি বিষয় মনে রাখলে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি অনলাইন বাজারের প্রতারণার হাত থেকে।

১। বিক্রেতাকে চিনে নিন
অনলাইনে অনেকে ফেক আইডি থেকে পণ্য বিক্রয় করেন। আইডি তে কোন ছবি থাকে না, শুধু পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যেই ওই আইডি অপারেট করা হয়। এধরণের কারো কাছ থেকে পণ্য নিলে আপনি সহজেই ঠকতে পারেন। কারণ পণ্য পাওয়ার পর কোন ত্রুটি থাকলে কার কাছে অভিযোগ করবেন? তাকে হয়ত আর খুঁজে পেলেন না বা পেলেও সে আপনার অভিযোগের কোন উত্তর না দিয়ে সহজেই পার পেয়ে যাবে। তাই কেনার আগে আইডি চেক করুন।

যে পাসওয়ার্ডগুলো ব্রেক করা সবচেয়ে সহজ, আপনারটা নেই তো?

২। বিশ্বস্ত পেজ
একজন ব্যক্তির কাছ থেকে না কিনে ভাল হয় বিশ্বস্ত পেজ থেকে কিনলে। কারণ একটি পেজ হচ্ছে আদতে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বস্ত কিনা দেখে নিন। কাস্টমার রিভিউ চেক করুন। পেজে পণ্যের আপডেট এবং সেখানে কাস্টমারদের কমেন্ট দেখুন। সহজেই বুঝতে পারবেন পেজটি কতটা বিশ্বস্ত হতে পেরেছে ইতোমধ্যে। পেজের লাইক সংখ্যাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটি দেখেও বোঝা যায় প্রতিষ্ঠানটি কতদিন যাবত ব্যবসা করছে এবং কেমন মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে।

৩। পণ্যের আসল ছবি
দোকানে গিয়ে কেনাকাটা করলেও যেমন অনেক সময় বাসায় এসে দেখি কোন না কোন সমস্যা রয়েছে বা শোরুমের ঝলমলে আলোয় যেমন দেখেছিলাম আসলে তেমন লাগছে না, অনলাইনেও তেমনটা হতে পারে। ক্যাটালগে অনেক সময় অতিরিক্ত এডিট করা ছবি ব্যবহার করা হয়। ছবিতে আকর্ষণীয় দেখতে কিন্তু বাস্তবে হয়ত তেমন নয়। তাই ক্যাটালগে যে ছবিটা দেখছেন ইনবক্সে তার এডিট ছাড়া আসল ছবিটি দেখে নিতে চেষ্টা করুন।

৪।পণ্যের মূল্য যাচাই করে নিন
একই পণ্য অনেক পেজ বিক্রয় করে থাকেন । বিভিন্ন পেজে পণ্যের মূল্য বিভিন্ন হতে পারে। তাই সমজাতীয় পণ্যের পেজগুলো ঘুরে দেখুন। মূল্য যাচাই করুন। সাথে মানও। কারণ হতে পারে একটি জিনিস কোন পেজে অনেক সস্তায় পেয়ে গেলেন কিন্তু তাদের পণ্যের মান অনেক খারাপ হতে পারে। তাই বিক্রেতার সাথে আলাপ করে মান এবং মূল্য উভয়ই যাচাই করে অর্ডার করুন।

ফেসবুকের ৩টি বিরক্তিকর ফিচার বন্ধ করার উপায়

৫। ডেলিভারি সিস্টেম জেনে নিন
আপনার পণ্য কিভাবে কার মাধ্যমে ডেলিভারি হবে জেনে নিন। অনেকে সুন্দরবন কুরিয়ার বা কন্টিনেন্টালের মত কুরিয়ার সেবা গুলো ব্যবহার করেন। অনেকে আবার অনলাইনে কুরিয়ার ব্যবসা করছেন এমন প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নেন। আরো বড় প্রতিষ্ঠান হলে নিজেদেরই পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা থাকে। যেভাবে যার মাধ্যমেই আপনার পণ্য আসুক না কেন তার সাথে নিজে উদ্যোগী হয়ে পণ্যটি সময়মত পেতে যোগাযোগ করুন। এতে আপনার পণ্য হারাবে না।

৬।ক্যাশ অন ডেলিভারি
পণ্য পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় ক্যাশ অন ডেলিভারি। বেশিরভাগ ফেসবুক পেজ এখন এই সুবিধা দিয়ে থাকেন। এই সিস্টেমে পণ্য পৌছে যাবে আপনার দোরগোড়ায়। পণ্য পেয়ে সার্ভিসদাতার হাতেই মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন আপনি। পণ্য পেয়ে কোন সমস্যা থাকলে কুরিয়ারের সার্ভিসদাতার সামনেই বিক্রেতাকে সাথে সাথে জানান। ছবি তুলে পাঠান। আবার মূল্য পরিশোধ করে সেটাও জানান। এতে লেনদেনে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। বিক্রেতার সাথে আপনার সম্পর্কও ভাল হবে।

সতর্কতাই সুরক্ষিত থাকার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। তবে মনে রাখবেন, অনলাইন বলেই আপনি ঠকছেন বা অনলাইন বিক্রেতা মানেই ঠকায় এই ধারণা ভুল। গাউসিয়া, নিউমার্কেট এমনকি বসুন্ধরা শপিং মল থেকেও পণ্য কিনে ঠকার ঘটনা অনেক। তাই অনলাইন হোক বা অফলাইন, দেখেশুনে, যাচাই করে আপনার পছন্দের পণ্যটি কিনুন।

ফেসবুকে যে ৫ তথ্য দিলে বিপদ আসবেই

আরও পড়ুন ::

Back to top button