লকডাউনে হাসপাতালে যেতে বাধা, চেকপোস্টে জওয়ানের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন মহিলা
জ্যোতি চক্রবর্তী ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: লকডাউনে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন বোনকে দেখতে যাওয়ার পথে চেকপোস্টে চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার বসিরহাটের এই মহিলা। অভিযোগ, হাকিমপুর চেকপোস্টে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। চেকপোস্টে কর্মরত জওয়ানদের পালটা অভিযোগ, রুটিং চেকিংয়ে বাধা দেন ওই মহিলা। এমনকী ছিঁড়ে দিয়েছেন কর্তব্যরত মহিলা জওয়ানের উর্দি।
জানা গিয়েছে, মিনা বিশ্বাস নামে ওই মহিলার বাড়ি বসিরহাটের স্বরূপনগরে। হাসপাতালে ভরতি ওই মহিলার বোন। ওই দিন বোনকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্টে কর্মরত মহিলা জওয়ানরা তাঁর পথ আটকায়। লকডাউন চলাকালীন যেতে দেওয়া যাবে না বলেই জানান তাঁরা।
মিনা দেবীর অভিযোগ বোনের অসুস্থতার কথা জানালেও তাঁকে ছাড়া তো দূর, উলটে অভব্য আচরণ শুরু করেন মহিলা জওয়ান। বেধড়ক মারধর করা হয় মিনাদেবীকে। এরপরই গোটা বিষয়টি জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীতা। যদি ওই মহিলার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি অভিযুক্ত জওয়ানের। তাঁর পালটা অভিযোগ, তল্লাশি করতে গেলেই তাঁর উপর হামলা চালান মিনা, ছিঁড়ে দেন পোশাক। সূত্রের খবর, এর আগেও সোনা পাচারের অভিযোগ উঠেছিল মিনাদেবীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা।
মৃতদের রেশন কার্ড ব্যবহার করে খাদ্যসামগ্রী মজুতের অভিযোগ, ধৃত বিজেপি নেতা
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি মোকা বিলায় গোটা রাজ্যেই আরও কড়া হয়েছে পুলিশ নিরাপত্তা। উত্তর ২৪ পরগনাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করার পর থেকেই বারাসত, দেগঙ্গা, শাসন ও হাবড়া থানার পুলিশ শুরু করেছে ধরপাকড়। বিনা কারণে রাস্তায় বের হলে প্রকাশ্যে কান ধরে ওঠবোসও করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পরিস্থিতি যাতে আরও ভয়াবহ না হয় সেই কারণে বনবনিয়া চৌমাথা এলাকা সিল করে হাবড়ার সঙ্গে নদিয়ার যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
সুত্র:সংবাদ প্রতিদিন