করণা ভাইরাসের থেকেও ভয়াবহ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ঘোড়ামারা বাসিন্দারা !
দক্ষিণ ২৪ পরগনা , নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে ছোট দ্বীপের নাম ঘোড়ামারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগরদ্বীপের একটি ছোট অংশ এই ঘোড়ামারা দ্বীপ বঙ্গোপসাগরের দ্বারপ্রান্তে হুগলি নদী,বুড়িগঙ্গা আর হলদি নদী দাপটে এখন এই দ্বীপটি প্রায় চিড়ে চ্যাপ্টা হতে হতে নিজের অস্তিত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এই দ্বীপের গা ঘেঁষে দেশ বিদেশের ছোট-বড় জাহাজের যাতায়াতে বড় বড় ঢেউ প্রতিনিয়ত ভেঙে দিচ্ছে এই দ্বীপকে। ঐতিহ্যপূর্ণ এই দ্বীপটিকে বাঁচানো অবশ্য খুব কঠিন কোন কাজ নয়।
মনে রাখতে হবে ঘোড়ামারা বাঁচলে বাঁচবে সাগরদ্বীপ। সময় অনেক পেরিয়ে গেছে এখনই কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ এই দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমাংশে বোল্ডার ফেলার উদ্যোগ নিলে সমস্যার কিছুটা সূরাহা হতে পারে।। ঘোড়ামারা এই সমস্যা অবশ্য শুধুমাত্র বর্তমানের নয়। সত্তরের দশকের গোড়া থেকেই এই সংখ্যার কথা শোনা যাচ্ছে। আসলে- নদীর ধারে বাস!! ভাবনা বারো মাস।
বাংলার এই গ্রামীন প্রবাদ আসলে ঘোড়ামারা দ্বীপের বাসিন্দাদের আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে। বর্তমানে এই দ্বীপের জনসংখ্যা প্রায় ৫০০ । পরিবারের সংখ্যা প্রায় ১২০০ কিছু বেশি। ভোটদাতা রয়েছেন ৩৫০০ ওপর। এই জনসংখ্যায় ঘোড়ামারার নিজস্ব পঞ্চায়েত রয়েছে। ঘোড়ামারা গ্রাম পঞ্চায়েত টি রাজ্যের কনিষ্ঠতম গ্রাম পঞ্চায়েত। সদস্য সংখ্যা মাত্র ৫! তবে একসময় এত ছোট ছিল না ঘোড়ামারা। সেসময় লোহাচড়া -খাশিমারা মৌজা ছিল ঘোড়ামারা দ্বীপের অংশ। তখন এর আয়তন ছিল সাড়ে ৯ বর্গকিলোমিটার।
লোহাচড়া ও কাশি মারাকে গিলে খেয়েছে মুরিগঙ্গা ও হুগলি নদী। লোহাচড়া সম্পন্ন নদীগর্ভে চলে গেলেও খাশিমারার এখনো প্রায় ২০ বিঘে জমি বেঁচে রয়েছে! তা নিয়ে ঘোড়ামারা দ্বীপের বর্তমান আয়তন মাত্র ৩ বর্গ কিলোমিটার ।
এমতাবস্থায় বর্তমানের পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে ভবিষ্যতের কথা ভাবলে গা ঝিমঝিম করে। বর্তমানে চিত্রটি খুব ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে।। এরূপ পরিস্থিতিতে লকডাউন এর বাজারে ঘোড়ার অসহায় বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তারা জানিয়েছেন অবিলম্বে খাশিমারা এলাকার বাঁধের মেরামত না করলে যেকোনো মুহূর্তে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর আগেও সরকার প্রশাসন ও সংবাদ-মাধ্যমে দ্বারস্থ হয়ে তারা সাহায্য চেয়েছেন কিন্তু কোনো আশানুরূপ ফল পায়নি ।