করোনা আবহে চলতি বছর কীভাবে শহিদ দিবস পালন করবে তৃণমূল? জেনে নিন
ওয়েবডেস্ক : একুশের আগে শেষ একুশ। ভিড়ে ঠাসা সভার বদলে ভার্চুয়াল জমায়েত। ২৬ বছরে পা রাখা একুশে জুলাই এবার রাজনীতি এবং আঙ্গিক, দুই দিক থেকেই তাত্পর্যপূর্ণ ।
একুশের শহিদ তর্পণ মঞ্চ কখনও হয়ে উঠেছে বাম জমানা অবসানের সংকল্প মঞ্চ। কখনও বা পরিবর্তনের অনুপ্রেরণার। ২০১১-এর পর শহিদের স্মৃতি জড়ানো এই মঞ্চেই হয়েছে বিজয় সমাবেশ। আবার এই মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রে বিকল্প সরকার গড়তে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন মমতা।
এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ একুশে জুলাই। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি রাজ্যেও থাবা বসাতে মরিয়া। একুশের মঞ্চ থেকে কী দিশা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিকেই তাকিয়ে তৃণমূল শিবির ।
করোনা সংক্রমণের আবহে একুশের ইতিহাসে এই প্রথম ভার্চুয়াল জমায়েতে মমতা। এবারের একুশ তাই বোধহয় অন্য বছরের চেয়ে আলাদা। রাজনৈতিক মূল্যের পাশাপাশি আয়োজনের বিন্যাসেও। ১৯৯৩-এর ‘নো আইডেন্টিটি, নো ভোট’ এই স্লোগানকে হাতিয়ার করে রাইটার্স অভিযান করে মমতা
[ আরও পড়ুন : ফের বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ,তালাবন্ধ থাকছে শহরের ৩২টি কন্টেইনমেন্ট জোনে ! ]
বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন প্রদেশ যুব কংগ্রেস। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ১৩ জন তরতাজা যুবক। শহিদের স্মৃতি তর্পণে ১৯৯৪ থেকেই শুরু হয় একুশে জুলাইয়ের জনসমাবেশ । ২০১৩ সাল ছিল ব্যতিক্রম । ওই বছর বাদে প্রতি বছরই পালিত হয়েছে এই সমাবেশ ।
এবছর আরও একটি ব্যতিক্রম। ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই আঙ্গিকে বড়সড় বদল। একুশে জুলাই ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মেই দুপুর দুটোয় ভাষণ দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা, আমফানের জেরে রাজ্যের অনেক জায়গাই বিধ্বস্ত। সামনেই রাজ্যে নির্বাচন। আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে
বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে দলনেত্রীর রাজনৈতিক ভাষণের দিকে তাকিয়ে তৃণমূল। একদিকে নিজের দলের নেতা কর্মীদের বার্তা । অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগের জবাব। দলনেত্রীর ভাষণে এই দুইয়েরই ইঙ্গিত পেতে চায় দল।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক এবার তৃণমূলের কী কী কর্মসূচি একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে-
- বেলা সাড়ে এগারোটায় একুশে স্মারকে (বিড়লা তারামণ্ডলের পাশে) মাল্যদান করবেন ফিরহাদ হাকিম।
- বেলা এগারোটায় ধর্মতলার শহিদ স্মৃতি বেদিতে মাল্যদান করবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ।
- বেলা বারোটায় বুথে বুথে তোলা হবে দলীয় পতাকা ।
- বেলা একটায় প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে ভাষণ দেবেন স্থানীয় বিধায়করা। অঞ্চলে অঞ্চলে তাঁদের ভাষণ দিয়েই শুরু হবে একুশে জুলাই উদযাপন অনুষ্ঠান।
- এর পর দুপুর দুটোয় ভাষণ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
- জায়েন্ট স্ক্রিনে দলনেত্রীর ভাষণ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে দলের তরফে। এছাড়া ফেসবুক, ইউটিউব এবং দলের সব কটি অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই ভাষণ শোনা যাবে ।
সুত্র: News18