জাতীয়

১২ ঘণ্টা গাছের তলায় পড়ে থেকে মৃত্যু স্বামীর, ৫ টাকার টিকিট কাটতে না পারায় দেওয়া হয়নি ঢুকতে

১২ ঘণ্টা গাছের তলায় পড়ে থেকে মৃত্যু স্বামীর, ৫ টাকার টিকিট কাটতে না পারায় দেওয়া হয়নি ঢুকতে

ওয়েবডেস্ক : হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য দরকার ছিল মাত্র ৫ টাকা। সেটাও জোগাড় করে ওঠা সম্ভব হয়নি হতভাগ্য স্ত্রীর পক্ষে। হাসপাতালে উপস্থিত বহু মানুষের কাছে হাত পেতেছিলেন, কিন্তু কেউ ফিরেও দেখেননি তাঁর দিকে। সন্তানকে কোলে নিয়ে জনে জনে ভিক্ষা চেয়েছেন, কিন্তু কেউ কানে তোলেননি কথা।

এমনকি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ৫ টাকা দিয়ে টিকিট না করলে, রোগী ভর্তি নেওয়া হবে না বলেই নাকি সাফ জানিয়ে দেয়। তার ফল স্বরূপ যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাবে।

মধ্যপ্রদেশের গুনায় হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য গুরুতর অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী। সঙ্গে ছিল কোলের সন্তান। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন ৫ টাকা দিয়ে টিকিট (Parcha) না করলে, তবেই হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে স্বামীকে। কিন্তু সেই সময় তাঁর কাছে কোনও টাকা ছিল না।

[ আরও পড়ুন : করোনায় আক্রান্ত হলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ]

অভিযোগ, তাঁর কাছে টাকা নেই, সে কথা তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। কিন্তু তাঁরা কোনওভাবেই টাকা ছাড়া ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করতে রাজি হননি। এরপরেই ওই মহিলা হাসপাতালের সামনে স্বামীকে একটি গাছের তলার শুইয়ে রেখে টাকা জোগাড়ের চেষ্টা চালাতে থাকেন। কিন্তু সারাদিন শেষেও ‘৫’ টাকা জোগাড় হয়নি। ১২ ঘণ্টা বিনা চিকিত্‍সায় পড়ে থেকে শেষপর্যন্ত গাছতলাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই ব্যক্তি।

এ দিনের প্রকাশ্যে আস্তেই মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “এভাবে আমি আমার রাজ্যকে দেখতে পারছি না।

বিরোধীরা এমএলএ কেনাবেচা করছ, আর অন্যদিকে, শিশুকে কোলে নিয়ে অসহায় মা স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারপরেও বাঁচাতে পারেননি। মাত্র ৫ টাকার জন্য তাঁর চিকিত্‍সাই করা হয়নি। চোখের সামনে চরম কষ্ট পেয়ে অকালে মৃত্যু হয়েছে স্বামীর।”

[ আরও পড়ুন : শেষ সম্বল বেচে সন্তানদের স্মার্টফোন কিনে দিলেন বাবা ]

প্রসঙ্গত, হাসপাতালেরই এক চিকিত্‍সক জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের হাসপাতালে ভর্তি হতে বা প্রাথমিক চিকিত্‍সার জন্য কোনও টাকা লাগে না। তবে এ দিন কেন এই অমানবিক ঘটনা ঘটল! তার উত্তর অবশ্য এখনও নেই কারও কাছে।

 

 

সুত্র: News18

আরও পড়ুন ::

Back to top button