জাতীয়

কলকাতা-মুম্বই-নয়ডায় আইসিএমআর-এর টেস্টিং ল্যাব, উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

কলকাতা-মুম্বই-নয়ডায় আইসিএমআর-এর টেস্টিং ল্যাব, উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

দেশে প্রতিদিন ১০ লক্ষ টেস্ট করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই সোমবার মুম্বই, কলকাতা, নয়ডায় আইসিএমআর-এর টেস্টিং ল্যাবরেটরির ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ওই ল্যাবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এই তিনটে ল্যাব হল আইসিএমআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ক্যানসার প্রিভেনশন ও রিসার্চ (‌নয়ডা)‌, আইসিএমআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন রিপ্রোডাকটিভ হেল্থ (‌মুম্বই)‌ ও আইসিএমআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এনটারিক ডিজিস (‌কলকাতা)‌।

প্রধানমন্ত্রী এই ল্যাব উদ্বোধনের সময় বলেন, ‘‌এই ল্যাবে শুধুমাত্র কোভিড-১৯ টেস্ট নয় বরং হেপাটাইটিস বি ও সি এবং ডেঙ্গুরও টেস্ট হবে অদূর ভবিষ্যতে।’‌ তিনি আরও জানিয়েছেন যে দেশে ১৩০০ ল্যাবে করোনা টেস্ট হচ্ছে। আগে যেখানে দেশে একটাও পিপিই তৈরি হত না, সেখানে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় পিপিই কিট তৈরির দেশ হয়ে উঠেছে ভারত। মোদীর বক্তব্যে উঠে এসেছে

১)‌ নতুন টেস্টের সুবিধা পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশকে আরও বেশি করে শক্তি জোগাবে কোভিড-১৯ লড়াইয়ে।

২) দেশে ১১ হাজারের বেশি কোভিড সুবিধা ও ১১ লক্ষের বেশি আইসোলেশন বেড রয়েছে। দেশে ১৩০০ টেস্ট ল্যাব রয়েছে এবং প্রতিদিন ৫ লক্ষেরও বেশি টেস্ট হয় সেখানে। ‌

[ আরও পড়ুন : ‘আপনাকে অনুরোধ, বকেয়া টাকা দিন’, প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি পাওনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ]

৩)‌ ছ’‌মাস আগে ভারতে কোনও পিপিই কিট প্রস্তুত হত না। আজকে ১২০০ প্রস্তুতকারক রোজ ৫ লক্ষের বেশি পিপিই কিট তৈরি করে। একটা সময় ছিল যখন ভারত বাইরে থেকে এন-৯৫ মাস্ক অর্ডার করত। আর আজকে দেশেই ৩ লক্ষের বেশি এন-৯৫ মাস্ক তৈরি হয়।

৪)‌ এখন সরকারের একটিমাত্র সংকল্প আছে এবং তা হল সমস্ত ভারতীয়দের জীবন বাঁচানো। সমাধানটি আমাদের চমকপ্রদ ফলাফল দিয়েছে। ভারত যা করেছে বিশেষ করে পিপিই কিট, মাস্ক ও টেস্টিং কিটের বিষয়ে,তা সত্যিই বড় সাফল্য।

৫)‌ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে বড় লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সরকারকে করোনা বিশেষ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। এই কারণেই কেন্দ্র ১৫,০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল।

৬)‌ ভারতের প্রতিভাবান বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরির কাজে দিনরাত পরিশ্রম করছেন।

৭)‌ কোভিড-১৯ লড়াইয়ে, আমরা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছি যেখানে আমাদের সচেতনতার অভাব নেই, বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রসারণ হচ্ছে, সংস্থান বাড়ছে।

[ আরও পড়ুন : শুক্রবার অমিত শাহর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডাক পড়ল মুকুলের ]

৮)‌ অনেক বড় বড় দেশের তুলনায় ভারতে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার অনেক কম। তার কারণ হল সঠিক সিধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়া হয়েছে। ভারত কোভিড-১৯-এর লড়াইয়ে অন্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো জায়গায় রয়েছে।

৯)‌ আগাম উত্‍সবের মরসুমের কথাও এদিন তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেশবাসীর ক্ষেত্রে তিনি আবেদন করে বলেন, ‘‌প্রধানমন্ত্রী অন্ন যোজনার লাভ যেন সব গরিব পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সামনের দিনে অনেক উত্‍সব আসছে, আমাদের সবার প্রিয় উত্‍সব সেগুলি। কিন্তু সংক্রমণ যেন না ছড়ায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’‌


১০)‌ প্রতিষেধক না আসা পর্যন্ত একটাই সমাধান তা হল ‘‌২ গজ কে দূরি’‌ (‌২ গজ সামাজিক দুরত্ব বজায়)‌, মাস্ক পরা ও হাত স্যানিটাইজারের মতো স্বাস্থ্যশুদ্ধি মেনে চলা।

 

 

 

সুত্র: Oneindia

আরও পড়ুন ::

Back to top button