রাজনীতি

গেছিলেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে, তাড়া থাকায় পুস্পস্তবক রেখেই ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী

গেছিলেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে, তাড়া থাকায় পুস্পস্তবক রেখেই ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী

প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল না। বৃহস্পতিবার দুপুরে মরদেহ আসার আগেই বিধানসভা ছাড়েন মমতা। স্বগতোক্তির ঢঙেই বলেন, ‘আমার কাজ আছে।

আর কতক্ষণ অপেক্ষা করব!’ দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বিধানসভায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী। মিনিট ২৫ অপেক্ষা করার পরও সোমেনবাবুর মরদেহ না আসায় আর সেখানে অপেক্ষা করেননি মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তাপস রায় এবং নির্মল মাজির হাতে পুষ্প স্তবকটি দিয়ে মমতা বলেন, তাঁরা যেন মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সোমেনবাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে দেন।

[ আরও পড়ুন : প্রয়াত কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ]

যদিও শাসকদলের নেতারা বলছেন, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি যে সূচি ঘোষণা করেছিল তাতে সোমেন মিত্রের মরদেহ বিধানসভায় আসার কথা ছিল সাড়ে বারোটায়। এদিন সকালে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী প্রথমে জানান, বিধানসভায় মরদেহ আসবে বেলা দেড়টায়।

পরে তা পাল্টে বলা হয় আরও এক ঘণ্টা আগে অর্থাত্‍ সাড়ে বারোটায় বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার মরদেহ যাবে বিধানসভায়। সংশোধিত সূচি মেনেই মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছেছিলেন। কিন্তু বিধান ভবন, লোয়ার রডন স্ট্রিটের বাড়ি হয়ে মরদেহ বিধানসভায় আসতে আসতে দেড়টা পেরিয়ে যায়। কিন্তু নবান্নে একাধিক কাজ থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে আর দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি।

[ আরও পড়ুন : তিন মাসের মধ্যে সারদা রোজভ্যালি মামলার নিষ্পত্তি করব: দিলীপ ঘোষ ]

৯৮ সালে সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালীনই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। পরে যদিও ২০০৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস গড়েছিলেন সোমেনবাবু। কিন্তু তা তেমন দানা না বাঁধায় ২০০৯ সালে তৃণমূলে যোগ দেন ‘ছোড়দা’।

ডায়মন্ড হারবার থেকে সাংসদও হন তৃণমূলের টিকিটে। তবে ২০১৪ সালের ভোটের আগে ইস্তফা দেন সাংসদ পদ থেকে। ফিরে যান কংগ্রেসে। সাতের দশকের দাপুটে নেতাকে ২০১৮ সালে ফের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। যদিও তৃণমূল নেতারা বলছেন, দিদির না থাকার মধ্যে অন্য কোনও কারণ খোঁজা ঠিক হবে না।

[ আরও পড়ুন :বঙ্গ বিজেপির দিল্লি যুদ্ধে জয়ী দিলীপ, দিলীপের নেতৃত্ব মেনেই চলতে হবে বিরোধী বিজেপি নেতাদের ]

বুঝতে হবে এখন পরস্থিতি সংকটজনক। নবান্নে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বৈঠক করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তাই তাঁকে চলে যেতে হয়েছে। বিধানসভা থেকে আমহার্স্ট স্ট্রিটের পৈতৃক ভিটেয় নিয়ে যাওয়া হয় সোমেন মিত্রের দেহ। সেখান থেকে নিমতলায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

 

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button