জাতীয়

গোমাংস রাখায় পুলিশের সামনেই ট্রাকচালককে হাতুড়িপেটা

গোমাংস রাখায় পুলিশের সামনেই ট্রাকচালককে হাতুড়িপেটা

ভারতে গোমাংস খাওয়া বা বহন করার কারণে মুসলমানদের পিটিয়ে মারা ও হত্যার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্যে গরুর মাংস নিষিদ্ধও করা হয়েছে।

এবারও ব্যতিক্রম হলো না। ঈদের দিন সকালে পেটানো হলো লোকমান নামে এক ট্রাকচালককে। রাজধানী দিল্লির কাছেই গোমাংস নিয়ে যাওয়ার ‘অপরাধে’ তাকে হাতুড়িপেটা করেছে একদল দুর্বৃত্ত।

ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সকাল ৯টার দিকে হরিয়ানার গুরুগ্রামে মাংসভর্তি একটি পিক-আপকে তাড়া করে ধরে দুর্বৃত্তরা। ট্রাকচালককে বেধড়ক মারধর করা হয়। হাতুড়ি দিয়েও আঘাত করা হয়। তবে ঘটনাস্থলে হাজির থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

[ আরও পড়ুন : হাসপাতালের তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী কোভিড রোগীর ]

অভিযোগ, আহত লোকমানকে ওই ট্রাকে তুলেই গুরুগ্রামের বাদশাপুর গ্রামে নিয়ে ফের মারধর করা হয়। পরে তাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা গেছে, এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি পুলিশ।

তবে ট্রাকের মালিক জানিয়েছেন, তিনি ৫০ বছর ধরে মাংসের ব্যবসা করছেন। ওই ট্রাকে মহিষের মাংস ছিল।

উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর তথাকথিত ‘গোরক্ষকদের’ একের পর এক হামলার ঘটনা নিয়ে বারবার অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। এমন ঘটনার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন খোদ মোদিও।

[ আরও পড়ুন :  নয়া শিক্ষানীতিতে চাকরিপ্রার্থীরাই চাকরি তৈরি করবেন, আশ্বাস প্রধানমন্ত্রির ]

তথাকথিত গোরক্ষকদের হামলা ছাড়াও নানা কারণে গণপিটুনির ঘটনা মোদি জমানায় বেড়েছে বলে দাবি নানা শিবিরের। ২০১৮ সালে গণপিটুনিতে খুনকে ‘ঘৃণ্য’ অ্যাখ্যা দিয়ে তা রুখতে নির্দেশিকা জারি করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তাতে যে কাজ বিশেষ হয়নি তা দেখিয়ে দিল গুরুগ্রাম।

আরও পড়ুন ::

Back to top button