দর্শকদের হাসি-টিটকিরি ছিল সঙ্গী, ৯৪ কেজির তরুণী এখন তন্বী নায়িকা
নিজেকে স্টার কিড বলতে পছন্দ করেন না । কিন্তু নিঃসঙ্কোচে স্বীকার করেন সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ভাগ্নি হওয়ায় বড় ব্রেক পেতে সুবিধে হয়েছে। একই অকপট ধারায় শরমিন সেগাল বলতে পারেন সেই অভিজ্ঞতাও, যখন অতিরিক্ত ওজনের জন্য হেনস্থার শিকার হতে হতো তাঁকে। ‘মালাল’-এর নায়িকা ফিরে গিয়েছেন সেই দিনে, তিনি চুরানব্বই কেজি ওজনের । তবুও অভিনয়ের নেশায় উঠতেন মঞ্চে। বাহবার বদলে জুটত দর্শকের ব্যঙ্গাত্মক হাসি।
মালাল-এ জাভেদ জাফরির ছেলে সিজানের বিপরীতে নায়িকা শরমিনের ছোটবেলায় ইচ্ছে ছিল চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু কলেজে পড়ার সময় অভিনয়ের নেশা চাপে মাথায়। ক্রমশ তা চেপে বসে মনে। তাই অতিরিক্ত ওজন সত্ত্বেও উঠতেন মঞ্চে। দর্শকদের হাসি-ঠাট্টাতেও দমে না গিয়ে চালিয়ে যেতেন অভিনয়।
ইন্ডাস্ট্রিতে শরমিনের হাতেখড়ি অবশ্য ক্যামেরার পিছনে থেকেই। মামা ভন্সালীর ছবি ‘রাম লীলা’ এবং ‘বাজিরাও মস্তানি’-র ইউনিটে সহকারী ছিলেন শরমিন। কিন্তু মনে মনে ততদিনে বেড়েছে অভিনয়ের ইচ্ছে। প্রাণপণে তা লুকিয়ে রাখতেন। কিন্তু বাজিরাও মস্তানির সেটে ধরা পড়ে যান। ভাগ্নির সুপ্ত ইচ্ছে ধরা পড়ে যায় পরিচালক মামার নজরে।
কিন্তু বলিউডে নায়িকা হতে গেলে প্রতিভার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে লুকের-ও। ফলে ৯৪ কেজি থেকে নিজেকে তন্বী করতে প্রবল পরিশ্রম করতে হয়েছে শরমিনকে । তবে বিখ্যাত মামার ভাগ্নি হওয়ার সমস্যাও কম নয়। প্রতি মুহূর্তে তুলনা, প্রমাণ করে যেতে হবে যোগ্যতা। তাই রীতিমতো অডিশন দিয়েই মালাল-এর নায়িকার ভূমিকায় নির্বাচিত হয়েছেন শরমিন। তাঁকেও সহ্য করতে হয়েছে মামার বদমেজাজ। বাজিরাও মস্তানির-সেটে উল্টোপাল্টা করে ফেলেছিলেন কস্টিউম। রেহাই পাননি মামার বকুনি থেকে। এই তিরস্কারকেই শরমিন নিজের মতো করে পুরস্কারে পাল্টে ফেলেছেন। চেষ্টা করে চলেছেন এর থেকে অভিনয়ের খুঁটিনাটি শেখার।