১৯৬২ সালের পর এই প্রথম দেশের সীমান্তে এত উত্তেজনা বলছে বিদেশমন্ত্রক
লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। পূর্ব লাদাখে কড়া নজর রেখেছে ভারত। তবে ১৯৬২ সালের পর এই প্রথম সীমান্তে এত উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের। ১৯৬২ সালের ভারত চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গে তুলে এদিন মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী।
রেডিফ ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এদিন বিদেশমন্ত্রী বলেন প্রায় ৪৫ বছর পর দুই দেশই যুদ্ধের আবহে রয়েছে। দুই দেশই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। ১৯৬২ সালে এই পরিস্থিতি হয়েছিল। তারপরে এই ২০২০ সালে আবার সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা একেবারেই কাম্য নয়। সীমান্তের অবস্থা মোটেও হালকা ভাবে নেওয়ার মত নয়।
বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এদিন বলেন চিনকে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে ভারত। কোনও ভাবেই সীমান্তের স্থিতাবস্থা ও শান্তি নষ্ট হতে দেবে না ভারতীয় জওয়ানরা। দুদেশের সম্পর্কের মধ্যেই স্বচ্ছতা থাকা চাই। পূর্ব লাদাখে একটা চাপা অস্থিরতা তৈরি হয়েথে। দুই দেশের সেনাই এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
গত এক দশকে বেশ কয়েকটি সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। ডোকলাম, চুমার, ডেপসাং। কূটনৈতিক স্তরে যেমন সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, সামরিক স্তরেও চেষ্টা চলছে। তবে ভারত আলোচনার রাস্তা খোলা রেখেছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন পূর্ব লাদাখকে কেন্দ্র করে যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তার রেশ টেনে নিয়ে যাচ্ছে চিন ইচ্ছাকৃতভাবে। একদিকে ভারতকে বিভিন্ন বৈঠকের নামে ব্যস্ত রাখা, অন্যদিকে সুকৌশলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সাজিয়ে যাওয়া। আপাতত এই খেলাতেই মেতেছে চিন।
অন্যদিকে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে চিন এখন বৈঠক বৈঠক খেলা খেলছে। অনেকটা পিং পং বলের মতো কখনও সামরিক, কখনও কূটনৈতিক স্তরের বৈঠক করছে তারা। কিন্তু নিজেদের অবস্থান থেকে যে তারা সরবে না, সেকথা আগে থেকেই স্থির করে নিয়েছে বেজিং।
একের পর এক এলাকায় সেনা সাজাচ্ছে চিন। কখনও উত্তরাখন্ড, কখনও অরুণাচল প্রদেশ, আবার কখনও পূর্ব লাদাখ। ভারতীয় সীমান্তে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনধিকার প্রবেশে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিনা সেনা।
সুত্র: কলকাতা24×7