কলকাতা

এবার পুজোয় বিধিনিষেধ, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী!জেনেনিন বিস্তারিত

এবার পুজোয় বিধিনিষেধ, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী!জেনেনিন বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার বিকেলে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলি ও প্রশাসনকে নিয়ে সমন্বয় বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে কোভিড পরিস্থিতিতে পুজো করার বিষয়ে উদ্যোক্তা ও প্রশাসনের উদ্দেশে একাধিক বিধিনিষেধ মানার কথা বলেন মমতা।

১. খোলামেলা প্যান্ডেল করুন। যাতে সংক্রমণ বেরিয়ে যায়। সাইড ঢাকলে ছাদ খোলা রাখুন, ছাদ ঢাকলে সাইড খোলা রাখুন।

২. প্যান্ডেল এমন ভাবে করুন যাতে ফিজিক্যাল ডিস্টেন্স বজায়। থাকে। সোশ্যাল ডিস্টেন্স ভুল কথা। আমরা ফিজিক্যাল ডিস্টেন্স বলছি।

৩. মণ্ডপে ঢোকার এন্ট্রি এবং এক্সিট আলাদা করুন। নাহলে গাদাগাদি হবে।

৪. আমি যেমন দোকানের সামনে, বাজারে গোল্লা গোল্লা রিং করে দিয়েছিলাম, ওই রকম গোল্লা রিং করে দিন। তাহলে মানুষ দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াবেন।

৫. পুজো প্যান্ডেলে ঢোকার সময় স্যানিটাইজার মাস্ট। কমিটিগুলিকে ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসন সহযোগিতা করবে।

আরও পড়ুুন: বদল হতে পারে শেষ মেট্রোর সময়

৬. সবাইকে মাস্ক পরে প্যান্ডেলে ঢুকতে হবে। কারও মাস্ক না থাকলে কমিটিগুলি যেন মাস্কের ব্যবস্থা রাখে।

৭. স্বেচ্ছাসেবকদের স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং ফেস শিল্ড দিতে হবে। বেশি করে ভলান্টিয়ার রাখবেন।

৮. তিনটে টাইমে ভাগ করে অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। সাধরণ মানুষকে অনুরোধ, পারলে ফুল-বেলপাতা বাড়ি থেকে নিয়ে আসুন।

৯. ভোগ বিতরণটা করুন সিস্টেমেটিক। ওটা নিজেরা ঠিক করে নিন।

এবার পুজোয় বিধিনিষেধ, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী!জেনেনিন বিস্তারিত

১০. সিঁদুর খেলা খুব সেন্টিমেন্টাল। বড় জায়গায় যাতে এটা করা যায় সেটা দেখতে হবে।

১১. যারা পুজোয় পুরস্কার দেবেন, তারা মণ্ডপে যান সকাল সকাল। দশটা থেকে তিনটের মধ্যে।

১২. পুলিশকর্মীদেরও মাস্ক, স্যানিটাইজার মাস্ট।

১৩. মিটিং মিছিল করে বিসর্জন হবে না। কোথায় কবে বিসর্জন সেটা ভাগ করে করতে হবে। ঘাটগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করুন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই শকুনের মতো বসে আছে। এটা কেন করল না, ওটা কেন করল এসব বলবে বলে। কিন্তু বাংলার শ্রেষ্ঠ উত্‍সব আমরা ভাল করে পালন করব।’

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button