ধূমপান ছাড়ার সহজ উপায়
অনেকে ধূমপান ছেড়ে দিতে চান কিন্তু নানান কারণে তা পারেন না। কয়েকদিন বন্ধ রাখতে পারলেও আবারো শুরু করেন।
কী করলে ধূমপান স্থায়ীভাবে ছাড়তে পারেন তার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক ধূমপায়ী ও বিশেষজ্ঞরা। এ নিয়ে একটি ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিবিসি বাংলা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে ৭০০০ ক্ষতিকর রাসায়নিক ঢোকে শরীরে। যার ৭০টি রাসায়নিক সরাসরি ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ৯২ লক্ষ লোক ধূমপান করে। তামার গ্রহণের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি লোক মারা যায়। যাদের ৪৮ শতাংশই আক্রান্ত হয় হৃদরোগে।
আরও পড়ুন: ছেলেদের যে বিষয়গুলো মেয়েরা সবার আগে খেয়াল করে
ইকরামুল ইসলাম ইমু নামের সাবেক এক ধূমপায়ী বলেন, আমি প্রায় ১০ বছর চেইন স্মোকার ছিলাম। ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই যখন ডাক্তারের কাছে গিয়ে আলসার ধরা পড়ে। ডাক্তারের কাছে গেলে জিজ্ঞেস করেন যে, ধূমপান করি কিনা। কিছু জায়গায় আসলে মিথ্যা বলা যায় না তখন স্বীকার করতে হয়েছে যে, হ্যাঁ ধূমপান করি।
ধূমপান বন্ধের উপায় কী?
প্রথম প্রথম ধূমপান ছাড়তে চাইলেই ছেড়ে দেওয়া ততোটা সহজ হয়না বলে মত ইকরামুল ইসলাম ইমুর। তিনি বলেন, ধূমপান যখন আপনি ছেড়ে দেবেন প্রথমে হতাশা কাজ করবে। তখন নিজের সাথে কথা বলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
যে কোন অভ্যাস হুট করে ছেড়ে দেওয়াটা সম্ভব না। যদি অভ্যাস আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে হবে না।
ইমু জানান, ধূমপান করতে ইচ্ছে করলে তিনি নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখতেন।
এদিকে তামাক নিবারণ কর্মসূচী, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের গবেষক- চিকিৎসক রেনেসা তারান্নুম বলেন, প্রত্যেক ধূমপায়ীর ধূমপানের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। তার ধূমপান ছাড়তে হলে ওই সময়গুলোতে বেশি সচেতন থাকতে হবে। এজন্য তীব্র ইচ্ছে দরকার। ধূমপান ছাড়তে বাড়াতে হবে মানসিক দৃঢ়তা।
আরও পড়ুন: পূজার ঘোরাঘুরি হোক স্বাচ্ছন্দ্যে
হঠাৎ করে ধূমপান ছাড়লে প্রথমে কিছুদিন মাথাব্যাথা, ক্লান্তি, কাজে মনযোগ না থাকা, ক্ষুদা মন্দার মতো কিছু অনুভূতি হয়। তবে, এগুলো দুই থেকে তিন সপ্তাহেই ঠিক হয়ে যায়।
ধূমপান ছাড়ার প্রথম দিকে নিকোটিন, গাম অথবা চকলেট ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব মুখের ভেতরে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। বাকি চুইংগামের মতো এগুলো চিবিয়ে খাওয়া যাবে না।
নিকোটিন গাম কতোদিন ব্যবহার করতে হবে, কী পরিমাণ ব্যবহার করতে হবে তা চিকিৎসের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েই করা ভালো।