পূর্ব মেদিনীপুর

নিয়ম মেনে পুষ্পাঞ্জলি, ভগবানপুর রামকৃষ্ণ সেবা সংঘের

নিয়ম মেনে পুষ্পাঞ্জলি, ভগবানপুর রামকৃষ্ণ সেবা সংঘের
নিজস্ব চিত্র

আজ মহাষ্টমী বাংলা তথা ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ একই সময় সূচি অনুযায়ী মা দেবী দুর্গাকে পূজিত হচ্ছে।গ্রাম বাংলার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই পুজোতে আনন্দে উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে গেছে।তবে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে হল পুষ্পাঞ্জলি।

পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর রামকৃষ্ণ সেবা সংঘের পরিচালনায় ১২ বছর ধরে দুর্গোৎসব হয়ে আসছে । চৌরঙ্গীমোড় বটতলা রামকৃষ্ণ সেবা সমিতির পূজো প্রতিবছর নজর কেড়ে আসছে, মন্ডপের থিম বা মূর্তি হয় চোখে পড়ার মতো।

তবে সাবেকী মূর্তিতে বিশ্বাসী রামকৃষ্ণ সেবা সংঘ। গত বছর গুলিতে ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। তবে ২০২০ তে কোভিড সংক্রমণের ফলে স্তব্ধ আনন্দউৎসব, তবু তাঁর মধ্যে চলে দুর্গা পূজোর আয়োজন। ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমন রাজ্যে তিন লাখ ছাড়িয়েছে, তাঁর মধ্যেই বাঙালির দুর্গোৎসব রমরমিয়ে চলবে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: গোবরডাঙ্গায় কুমারী পূজা

দর্শনার্থীদের মন ব্যাকুল হয় মন্ডপে গিয়ে একবার দুর্গা মা এর চরন ছুঁতে। তবু বিধিনিষেধ মেনে মাস্ক পরে হাত স্যানিটাইজ করে অষ্টমীর সকালে পুষ্পাঞ্জলি দিতে হাজির হতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের ।

নিয়ম মেনে পুষ্পাঞ্জলি, ভগবানপুর রামকৃষ্ণ সেবা সংঘের
নিজস্ব চিত্র

হাইকোর্টের নির্দেশানুসারে রামকৃষ্ণ সেবা সংঘ পূজো মণ্ডপ ব্যারিকেট করে যাতে ভিড় না হয়।মহিলাদের অঞ্জলি দেওয়ার জন্য মন্ডপের বাইরে ফাঁকা মাঠে দূরত্ব বজায় করে চুনের গোল দাগ কেটে দেয়, যাতে একজন একটি গোল দাগের মধ্যে থাকতে পারে, ভিড়ে গাদাগাদি যাতে না হয় সেদিকে নজর রেখে পুষ্পাঞ্জলির দেওয়ার সুব্যবস্থা করে দেয়। এমনকি পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার সুব্যবস্থা দেখে খুশি মন্ডপে আসা সকল পুষ্পাঞ্জলি দাতা।

মা-এর মূর্তির কাছে অষ্টমীর সন্ধিপূজার দিন ১০৮ টি করে মোমবাতি, প্রদীপ, ধুপ প্রজ্বলিত করা হয় এবং ১০৮ টি পদ্ম দিয়ে পূজা হয় দুর্গা মা এর। পাশাপাশি সন্ধিপূজার বলিও হয় মা এর তবে তা লাউ, আপেল, কলা, আখ সহ ফলমুলের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

আরও পড়ুন: সন্তান কোলে পরিযায়ী শ্রমিক মা দুর্গা

১২ বছরে পদার্পণ করা রামকৃষ্ণ সেবা সংঘের পূজো অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পূজোর বাজেট আয়ত্বের মধ্যে। গতবছর গুলিতে ১২ লাখের ওপর খরচ হয় কিন্তু করোনা মহামারীর প্রকোপে এবছর মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্চাশ হাজারের সাথে মিলিয়ে প্রায় ৩ লাখের মধ্যে রয়েছে।

নিয়ম মেনে পুষ্পাঞ্জলি, ভগবানপুর রামকৃষ্ণ সেবা সংঘের
নিজস্ব চিত্র

ভগবানপুরের ঐতিহ্যবাহী এই পূজোর বিশেষত্ব দশমীর নজর খেলা খবরের শিরোনামে উঠে আসে, কিন্তু করোনা বছরে তা বন্ধ হওয়ায় হতাশ এলাকার মহিলারা। অন্যান্য বছর দশমীতে প্রায় সাত আটটা গ্রামের কয়েক হাজার মহিলা ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলায় অংশ নেয়, কিন্তু করোনা প্রবাহে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এবং সপ্তমীতে হোম শুরু হলে তার আগুন থাকে দশমী পর্যন্ত। এবছর মণ্ডপ সজ্জা উড়িষ্যার জগন্নাথ দেবের রথের থিম তুলে ধরে। তবে প্রতিবছর ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো, কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মন্ডপের বাইরে বাঁশের ব্যারিকেড করে সেবা সংঘ,, যাঁর ফলে বাইর থেকে প্রতিমা দর্শন করে ফিরে যান প্রতিমা দর্শনার্থীরা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button