কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন`: প্রকাশ্যে এল টিজার, চলুন পরিচিত হয়ে আসা যাক আফ্রিকার জঙ্গলের সঙ্গে

আফ্রিকার ঘন জঙ্গল। সিংহের আক্রমণের ভয়ে ছুটে চলেছে পশুর দল। প্রথমে আফ্রিকার দৃশ্যের পরই কাকাবাবু মনে করিয়ে দিলেন ‘মিশর রহস্য’ (২০১৩), ‘ইয়েতি অভিযান’ (২০১৭) এর সেই রোমাঞ্চকর স্মৃতি। এরপর ২০২০-তে পুনরায় ফিরে এলেন আফ্রিকার জঙ্গলে। শনিবার প্রথম মুক্তিপাওয়া ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’-এর টিজারের শুরুটা ছিল ঠিক এমনই।এই ছবির টিজারে বিশেষত মন কাড়ল আফ্রিকারঘন জঙ্গলের দৃশ্য।

খুব সহজেই বিনা ভিসায় নিজের ভ্রমণপ্রিয় মনকে নিয়েই খ্রিস্টমাসে ঘুরে আসতে পারেন সুদূর মাসাইমারা, কেনিয়া সহ সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায়। আর সঙ্গী থাকবে অবশ্যই কাকাবাবু!  পুজোতে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। তবে বড়োদিনে মুক্তি পাচ্ছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’।

এই ছবি ‘মিশর রহস্য’, ‘ইয়েতি অভিযান’-এর পর সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের কাকাবাবু সিরিজের তৃতীয় ছবি। সৃজিতের কাকাবাবু সিরিজের গত দুটি ছবিতে কাকাবাবু আর সন্তুর নতুন রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার সিনেমাপ্রেমীদের মন মুগ্ধ করতে সফল হয়েছে । এবার ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’-গল্পের সাহায্যে দর্শকদের আফ্রিকার জঙ্গলে নিয়ে যেতে চলেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।প্রখ্যাত লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল’ অবলম্বনে ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ বানিয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ছবিতে  প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও অভিনয় করেছেন  আরিয়ান ভৌমিক, অনির্বাণ চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন : দীপাবলি উৎযাপন -এ রাজনৈতিক সাংসদ, অভিনেত্রী নুসরত জাহান

জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায় এর আগে এই ছবির বিষয়ে বলেছিলেন, ”কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন, আফ্রিকার জঙ্গলে অ্যাডভেঞ্চারে ভরা এক ভ্রমণের গল্প। মাসাইমারা গেম রিজার্ভ ফরেস্টে যাওয়ার আগে কাকাবাবু ও সন্তু একরাত কেনিয়াতে কাটান। সেখান থেকেই রোমাঞ্চের একটা স্ট্রিং শুরু হয়।

গল্পের পাশাপাশি, এই ছবির অরও একটি USP হ’ল, চমকপ্রদ জায়গায় ছবিটির শুটিং করা হয়েছে I আমি নিশ্চিত, এই ছবিটির মাধ্যমে দর্শকরা আফ্রিকার বন্যজীবনের নানান ঘটনা প্রত্যক্ষ করবে। কাকাবাবু সিরিজের সমস্ত ছবিই আমার হৃদয়ের খুব কাছের। বুম্বা-দা-র সঙ্গে কাজ করতে সবসময়ই ভালো লাগে।

আরও পড়ুন : ফেলে দেয়া বোতলে বন্দি অভিনেত্রী সামান্থা!

কাকাবাবুর সমস্ত কলাকুশলীদের কাছেও আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। যদিও আমাদের কাছে বন্যপ্রাণীদের সামনে ছবির শ্যুটিং ভীষণই চ্যালেঞ্জের ছিল। তবে আফ্রিকান জঙ্গলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভীষণই ভালো লেগেছে।”