জাতীয়

কৃষকদের পক্ষে রাস্তায় ১১ বছরের বালিকা

কৃষকদের পক্ষে রাস্তায় ১১ বছরের বালিকা
গুরসিমরাত কর ছবি সংগ্রহ

নতুন তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের টানা আন্দোলনে পরিবারের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ১১ বছরের গুরসিমরাত কর। বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

আন্দোলনের পাশাপাশি গুরসিমরাত পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। সড়কে বসেই চলছে তার লেখাপড়া। গুরসিমরাত পাঞ্জাবের একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।

গুরসিমরাত বলেন , আমরা এখানে আমাদের আধিকার আদায়ের লড়াই করতে এসেছি। মোদী সরকার যে কালো আইন বানিয়েছে, যে আইন পাস করেছে তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরই কেবল আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যাব।

আন্দোলনে আসায় লেখা পড়ার ক্ষতি হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে গুরসিমরাত বলেন, দেখুন, লেখাপড়াতো করতেই হবে, লেখাপড়া করা জরুরি। কিন্তু এ সময় আন্দোলন করাটাও জরুরি।

এ প্রসঙ্গে গুরসিমরাতের মা সুখবীর কর জানান, স্বামী এবং মেয়ে ছাড়াও তার স্বামীর আরও দুই ভাই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমরা জুলুমের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছি। যেখানেই অন্যায় হবে আমরা লড়াই করব। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই চলতেই থাকবে।

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত জেপি নাড্ডা

গুরসিমরাতের আশা ঈশ্বরের আশীর্বাদে শিগগিরই কৃষকরা তাদের অধিকার ফিরে পাবেন।

উল্লেখ্য, কৃষিআইন সংস্কারের নামে সম্প্রতি নতুন তিনটি আইন পাস হয়েছে। বিল হিসেবে পার্লামেন্টে উপস্থাপনের পরপরই ওই তিনটি আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন কৃষকরা। বিরোধীদল থেকেও তীব্র সমালোচনা করা হয়।

কিন্তু কৃষকদের দাবি বা বিরোধীদের সমালোচনা কোনও কিছুই কানে তোলেনি নরেন্দ্র মোদি সরকার। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়ে শেষ পর্যন্ত ওই বিল তিনটি আইনে পরিণত হয়।

মোদি সরকার বারবার বলছে, নতুন তিন আইনে কৃষকরাই লাভবান হবে। কিন্তু কৃষকরা তা মানতে নারাজ।

কৃষকদের আশঙ্কা, নতুন কৃষি আইনের ফলে সরকার আর ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনতে বাধ্য থাকবে না। বাজারের উপর সরকারের নজরদারিও কমে যাবে। ফলে বাজারের নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বড় বড় ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানির হাতে চলে যাবে এবং কৃষকদের জীবন তাদের দয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।

বিশেষ করে উত্তরের রাজ্যগুলোর কৃষকদের অন্তত ৩০টি সংগঠন এবারের আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button