‘ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে’, কৃষি আইনের বিরোধিতায় জাতীয় সড়ক অবরোধের ডাক সিদ্দিকুল্লার
সৌরভ মাজি
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামছে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ। তারই প্রস্তুতিতে শনিবার বর্ধমানের টাউন হলে একটি সভা করেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা এই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। আগামী ১৩ জানুয়ারি পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে পারাজের মধ্যবর্তী জায়গায় ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি নিয়েছে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ।
সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। আরএসএস-বিজেপির কোনও ভূমিকাই ছিল না ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে। এখন বিজেপি-আরএসএস কৃষি আইন চালু করে ভারতের কৃষকদের শেষ করে ফেলার চক্রান্ত করেছে। এই আইন বাতিলের দাবিতে হরিয়ানা-পাঞ্জাবের কৃষক আন্দোলনের মতো রাজ্যজুড়ে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ আন্দোলনে নামছে।
আরও পড়ুন : সোমবার কলকাতায় বিজেপির বাইক র্যালি, উপস্থিত থাকছেন শোভন-বৈশাখী ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়
মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, আগামী ১৩ জানুয়ারি পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে পারাজের মধ্যবর্তী জায়গায় ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি নিয়েছে তারা। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “সেদিন দিল্লি থেকে কোনও গাড়ি কলকাতায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। বাংলাকে চোখ রাঙালে তা বরদাস্ত করব না। ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে।” জাতীয় সড়ক অবরোধ যে কার্যত বেআইনি তা স্বীকার করে নিয়েছেন মন্ত্রী।
সে বিষয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, “দিল্লির সরকার ষখন আইন মানছে না। সংবিধান না মেনে জোর করে গোটা দেশে কৃষক বিরোধী কৃষি আইন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই আমরাও বেআইনিভাবেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল হব।” তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “সকলেই ওই দিন চাল, ডাল, আলু, সবজি সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। উল্লেখ্য, এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও নবান্ন থেকে আবার কখনও বা জনসভা থেকে সরব হয়েছেন তিনি।