স্বামীকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন বধূ
ভিন ধর্মে বিয়ে। পরিবারের পক্ষ থেকে এই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় নবদম্পতি মাস দু’য়েক বাইরে বাইরেই কাটাচ্ছিলেন। এরপর বধূ তাঁর স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্বামীকে রেখে একা ফিরে যান।
তারপর থেকে দিন পাঁচেক হল স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না স্ত্রী। বারে বারে চেষ্টা করেও কোন ভাবেই স্বামীর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে না পেরে স্বামীকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির দরজার সামনে দিনভর ধর্নায় বসলেন স্ত্রী।
ভাতার থানার কালিপাহাড়ি গ্রামে সোমবার এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ফিরোজা খান (দে) নামে ওই বধূ কলকাতা থেকে এদিন কালিপাহাড়ি গ্রামে এসে তার ‘শ্বশুরবাড়ির’ সামনে ধর্ণায় বসেন।
যদিও ওই বধূর স্বামী কৃশাণু দেকে এলাকায় দেখা যায়নি। কৃশাণুর বাবা চন্দ্রশেখর দে বলেন, ”আমার ছেলে বাড়ির অমতে ও বাড়িতে না জানিয়েই ভিন ধর্মে বিয়ে করেছে। এই বিয়ে আমরা মানি না। যদিও আমার ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক।
তাই তাকে বাধা দিতেও চাই না। তবে ছেলেকে বলেছি বাড়িতে জায়গা হবে না। তারপর সে কোথায় গিয়েছে আমি জানি না।” ফিরোজা খানের (দে) বাপের বাড়ি কলকাতার গড়িয়াহাট এলাকায়।
তিনি জানান মাস দশেক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে কালিপাহাড়ি গ্রামের কৃশাণুর সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় হয়। তারপর ফোনে কথোপকথন হতে থাকে।এই ভাবেই দু’জনের সম্পর্ক তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: ‘পিসি-ভাইপো’-র কোম্পানিকে উৎখাতের ডাক শুভেন্দু-দিলীপের
ফিরোজা জানান মাসদুয়েক আগে তারা কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে হিন্দু মতে বিয়ে করেন। কিন্তু দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই আপত্তি থাকায় তারা দু’জনে ঘরভাড়া করে ছিলেন বলে জানান ফিরোজা।
এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কালিপাহাড়ি গ্রামে চলে আসেন ফিরোজা। তিনি বলেন, ”আমার স্বামী বলেছিলেন বাড়ি আসবেন, মায়ের জন্য মনখারাপ করছে। তাই আমি গত ৩১ ডিসেম্বর আমার স্বামীকে সঙ্গে করে শ্বশুরবাড়িতে দিয়ে চলে যাই।
শ্বশুরবাড়িতে আমাকে ঢুকতে না দিলেও আমি কিছু মনে না করে চলেও যাই। কারণ আশা করে ছিলাম একদিন বোঝাপড়া হয়ে গেলে শ্বশুরবাড়ি আসব।
কিন্তু এখন আমার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। কৃশাণুকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আমার সামনে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।”
সুত্র: দ্য ওয়াল