Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
বীরভূম

গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক

আশিস মণ্ডল

গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক - West Bengal News 24

গ্রামে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেড়িয়ে আসতেই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক। পরে গ্রামবাসীদের হস্তক্ষেপে তিনি মুক্তি পান। যদিও বিধায়ক নরেশ বাউড়ির দাবি, বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়েছে।

দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এলাকার বিধায়করা নিজের বিধানসভা এলাকায় ঘুরতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুবরাজপুর ব্লকের লক্ষ্মী নারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামে যান তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি। সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক সেরে বের হতেই গ্রামের বাসিন্দা মনোজ সাহা অনুন্নয়ন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপরেই বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের মানস গড়াই, হৃদয় মণ্ডলরা।

তাদের দাবি, পাঁচ বছর আগে উন্নয়নের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা এখনও পেলাম না। এখনই সেই টাকা দেওয়া হোক। বিক্ষোভ চলাকালীন সেখানে এসে পৌঁছন গ্রামের পারুল ডোম, বুড়ো হাজরা, মানিক গোপরা। তাদের মধ্যে কেউ বার্ধক্যভাতা কেউ বা বিধবা ভাতার জন্য বিধায়কের কাছে আবেদন করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও তারা সেই ভাতা পাননি। প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁরা বলেন, “ভোটের আগে বিধায়ক এসেছিলেন। তারপর আর দেখা নেই। রাস্তাঘাট অনুন্নত। গ্রামের মানুষ সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত”।

আরও পড়ুন : চলতি মাসেই অমিতের সভায় শুভেন্দুর পথ ধরে রাজীবের সঙ্গে ১৭ হেভিওয়েট বিজেপির পথে? তালিকা তৈরি

নরেশ বাউড়ি বলেন, “২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ওই গ্রাম থেকে সাংসদ শতাব্দী রায় ২৪ ভোটে এগিয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালের লোকসভা এবং ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ওই গ্রামে হেরেছি। গ্রামের বাসিন্দা মনোজ সাহা বিজেপি করে। তার ইন্ধনেই এসব হয়েছে”।

যদিও মনোজের অভিযোগ, “উন্নয়ন বলতে কিছু হয়নি। সরকারি ঘর নির্মাণে কাটমানি দিতে হচ্ছে। সামান্য সরকারি সুবিধা পেতে ফর্ম ফিলাপের জন্যও তৃণমূলের নেতাদের টাকা দিতে হচ্ছে। পাঁচ বছর বিধায়কের কোনও দেখা নেই। তাই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন”।

পঞ্চায়েত প্রধান বিনয় বাগদি বলেন, “ওই গ্রামে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা বিজেপির লোক”।

দুবরাজপুরের বিডিও অনিরুদ্ধ রায় বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

আরও পড়ুন ::

Back to top button